একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের দেওয়া ২৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সফরকারীদের সংগ্রহ ১৪ ওভার শেষে দুই উইকেটে ৫৭ রান। অষ্টম ওভারে বিসিবির হয়ে প্রথম আঘাত হানেন শফিউল ইসলাম। রিচমন্ড মুতুম্বামিকে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিনত করে এই টাইগার। এরপর দ্বাদশ ওভারে দলের হয়ে দ্বিতীয় আঘাত হানেন সানজামুল ইসলাম। তবে এই আউটে কৃতিত্ব অনেকটাই সফিউলের। পিছন দিকে দৌড়ে ঝাপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন এই পেসার। এর আগে বৃহস্পতিবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৭৭ রান করে বিসিবি একাদশ। তবে দলের বড় সংগ্রহের মূল ভীত গড়ে দেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক বিজয়। এই দুই ব্যাটসম্যান ১৯ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে করেন ১০৫ রান। তবে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে থামেন ইমরুল কায়েস। ক্রেমারের বলে আউট হবার আগে ৫টি চার এবং ২টি ছক্কায় করেন ৫৬ রান।আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ৬১ বলে ৭টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৫২ রান করে ক্রেমারের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন। তিন নাম্বারে ব্যাটিং করতে নেমে লিটন দাস করেন ২৫ রান। তবে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় দলের মারকুটে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান (৩)।এরপর ১৪৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বিসিবি একাদশের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম এবং শাহরিয়ার নাফিস। এই দুই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯০ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান। ৪টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৩৮ রান করেন শাহরিয়ার নাফিস।একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাদাকালো জার্সির বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৫টি চার এবং ২টি ছক্কায় সাজানো এই রান করতে বলে খেলেন ৮৩টি। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জংবি ৩টি উইকেট পান ২০ রানে। এছাড়া গ্রায়েম ক্রেমার ২২ রানে ৩টি উইকেট নেন।আরটি/এমআর/আরআইপি
Advertisement