ধর্ম

আল্লাহর গুণবাচক নাম রাহমান-রাহিম

শিশুর জন্মের পর একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়। এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন। মানুষের আগ্রহের বিবেচনায় জাগো নিউজে শিশুর সুন্দর নামকরণে ধারাবাহিক বর্ণনা তুলে ধরা হবে। আজকের নাম রাহমান ও রহিম।০১. আর-রাহমান (الرَّحْمَنُ) পরম করুনাময়। অর্থাৎ তিনি মানব-দানব, ফিরিশতা, পশু-পাখি ইত্যাদি সব সৃষ্টির প্রতি করুণা করেন। মুসলিম-অমুসলিম, ভালো-মন্দ, নেককার-বদকার নির্বিশেষে সবাইকে খাদ্যপানীয় আলোবাসাতসহ জীবন ধারণের নানা উপকরণ দান করে থাকেন। কুরআনুল কারিমে এ শব্দটি ৫৭ বার এসেছে। আল্লাহ বলেন- الرَّحْمَنُ - عَلَّمَ الْقُرْآنَ অর্থাৎ পরম করুনাময় আল্লাহ, তিনি শিক্ষা দিয়েছেন আল কুরআন। (সুরা আর-রহমান : আয়াত ১-২)০২. আর-রাহিম (الرَّحِيْمُ) অসীম দয়ালু ও পরম অনুগ্রহশীল। যিনি ঈমানদারকে দুনিয়া ও আখিরাতে বিশেষভাবে দয়া করবেন। অর্থাৎ দুনিয়াতে তাদেরকে হক্বের পথ দেখান, হক্বের পথে প্রতিষ্ঠিত রাখেন, নেক কাজ করার শক্তি ও সামর্থ্য দান করেন। পাশাপাশি আখিরাতে তাদের হিসাব-নিকাশ সহজ করে দিবেন, পুলসিরাত পার করে দিবেন, জাহান্নামের শাস্তি থেকে হিফাজত করবেন এবং জান্নাত দান করেন। কুরআনে রাহিম শব্দটি ১২৩ বার এসেছে। যেমন আল্লাহ বলেন,  إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ অর্থাৎ নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। (সুরা মুযাম্মিল : আয়াত ২০)উপরোক্ত গুণবাচক নাম দু’টি দিয়েও শিশুর নাম রাখা যাবে। তখন অবশ্যই এভাবে নাম রাখতে হবে এবং ডাকতে হবে। আব্দুল আহাদ (عَبْدُ الرَّحْمَن- পরম করুণাময়ের বান্দা), আব্দুল ওয়াহেদ (عَبْدُالرَّحِيْم - অসীম দয়ালুর বান্দা) শুধু রাহমান ও রাহিম রাখা এবং ডাকা যাবে না।আমল# ইয়া রাহমানু : হে পরম করুনাময়তাফসিরে কাশশাফে আছে যে, আল্লাহ তাআলার এই পবিত্র নামটি সর্বপ্রথম প্রচারিত হয় বিসমিল্লাহ্‌ যোগে। প্রত্যেক নামাজের এই পবিত্র নামটি ১০০ বার পাঠ করিলে অন্যায় কাজ হইতে দূরে থাকা যায় এবং অশান্তি, গ্লানি ও ভ্রম দূর হয়। এই নামটি ৩০০ বার পাঠ করে দোয়া করলে আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং গোনাহ মাফ করে দিবেন। বিপদ-আপদ থেকে হিফাজত করবেন।# ইয়া রাহীমু : হে অসীম দয়ালুএই পবিত্র নামটি সর্বদা জিকির করলে যাবতীয় বিপদ-আপদ দূর হয়। প্রত্যেক দিন ‘ইয়া রাহীমু’ ১,০০০ বার যিকির করিলে মন দয়ালু হয়।

Advertisement

এ নামদ্বয় আল্লাহর খুব প্রিয়। কারণ এ নামদ্বয়ে আল্লাহর গুণগান তথা অসীম দয়ার স্বীকৃতি রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তার সুন্দর নামের আমল করা এবং সুন্দর নামে নিজেদের শিশুদের নামকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

কোরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement