করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দম্পতিদের সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে এককালীন মোটা অংকের বোনাস দেবে সিঙ্গাপুর। মহামারিতে আর্থিক সংকটের কারণে অনেকেই সন্তান নেয়া থেকে বিরত থাকছেন জানতে পেরে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
Advertisement
বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন জন্মহার সিঙ্গাপুরে। গত কয়েক দশক থেকেই তারা এই সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা করছে।
দেশটিতে বর্তমানে যোগ্য পিতামাতাদের সন্তান নেয়ার জন্য ১০ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার পর্যন্ত বোনাস দেয়ার নিয়ম রয়েছে।
সোমবার সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেং সুই কিট বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি, কোভিড-১৯’র কারণে বেশ কিছু সন্তান আকাঙ্ক্ষী দম্পতি তাদের পিতৃত্ব/মাতৃত্বের পরিকল্পনা স্থগিত করেছেন।
Advertisement
তবে বোনাসের পরিমাণ কত এবং কী পদ্ধতিতে সেটি দেয়া হবে তা এখনও জানানো হয়নি। সুই কিট বলেছেন, এসব তথ্য শিগগিরই জানিয়ে দেয়া হবে।
সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে সন্তান জন্মের হার নেমে এসেছিল আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে; নারীপ্রতি মাত্র ১ দশমিক ১৪-এ।
এশিয়ার বেশ অনেক দেশই নিম্ন জন্মহারের এই সমস্যায় ভুগছে। করোনা মহামারিতে সেটি আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতেই চীনে জন্মহার কমে দাঁড়িয়েছিল দেশটি গঠনের ৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্তরে। সেখানে একসন্তান নীতির কড়াকড়ি শিথিল করার পরেও এই পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।
Advertisement
অথচ সিঙ্গাপুরের অন্য প্রতিবেশী ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার অবস্থা ঠিক এর বিপরীত।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের হিসাবে, ফিলিপাইনে করোনাভাইরাসের কারণে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা যদি চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত বলবৎ থাকে, তাহলে দেশটিতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক বেড়ে ২৬ লাখে পৌঁছাতে পারে।
গত মাসে সংস্থাটির মুখপাত্র এইমি সান্তোস এই অবস্থাকেই আরেকটি মহামারি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/এমকেএইচ