বিশ্বের প্রায় দশ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। এর ফলে বিশ্বের বৃহৎ জনগোষ্ঠী এই ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছেন। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি বিষয়ের পরিচালক মাইক রায়ান সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের সভায় এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
Advertisement
নির্বাহী বোর্ডের ওই সভায় চীনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সঠিক তথ্য ঠিক সময়ে বিশ্বের কাছে সরবরাহ না করতে পারার অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের কর্মকর্তা ঝ্যাং ইয়াং বলেছেন, চীন সব সময় তার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পালনে স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল ছিল।
মাইক রায়ান বলেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চলে প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরীয় পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে ভালো অনুমান অনুযায়ী- বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। অর্থাৎ প্রতি দশজনের মধ্যে একজন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন।
Advertisement
তবে এটি বিভিন্ন দেশ, শহর থেকে গ্রামীণ এলাকা এবং গোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু এর অর্থ হচ্ছে বিশ্বের বৃহৎ সংখ্যক মানুষ এখনও ভাইরাসটির ঝুঁকিতে আছেন।
তিনি বলেন, আমরা একটি কঠিন সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। রোগটি ধারাবাহিকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবার বিক্রির বাজার থেকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে।
রায়ান বলেছেন, করোনাভাইরাসের উৎপত্তির ব্যাপারে তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত দলের তালিকা চীনা কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য চীনের কাছে দাখিল করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা। বৈঠকে জার্মানির প্রতিনিধি বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের এই মিশন শিগগিরই মোতায়েন করা হবে। করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়াও দ্রুত তদন্ত কাজে সমর্থন করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
সূত্র: রয়টার্স।
এসআইএস/এমএস