জাতীয়

সমাজে শিক্ষকরাই বেশি সম্মানিত : মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘শিক্ষকদের যে জাতি সম্মান দেয় না সে জাতি কখনও এগোতে পারে না। সমাজে যার মর্যাদা যেভাবেই চিহ্নিত করা হোক, শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশি সম্মানিত। শিক্ষকরা কেবল চাকরি বা রুটিন কাজ করেন তা নয়, তারা মানবসম্পদ তৈরির কারিগর।’

Advertisement

সোমবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় শিক্ষক দিবস- ২০২০ উদযাপন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. কাজী ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিটরিক কালডান (Beatrice Kaldun) এবং গণসাক্ষরতা কর্মসূচির ড. এনামুল হক বক্তৃতা দেন।

‘ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর অপরিহার্য’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চক-ডাস্টারের পরিবর্তে ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং কাগজের বইয়ের পরিবর্তে ডিজিটাল কনটেন্ট দরকার। সংকট মোকাবিলায় আগামী দিনের প্রস্তুতি নিতে হবে। শিক্ষকদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ আমাদের লক্ষ্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সক্ষমতা অর্জন করা। আমাদের উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে প্রথম শিল্প বিপ্লব যুগের প্রয়োজনীয়তার আদলে। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবেও ইংরেজ প্রবর্তিত আমাদের এই শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি। তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে আইটি তথ্যপ্রযুক্তি যুক্ত হয়। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থা আগেরটিই থেকে যায়।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার বড় পরিবর্তন করেন। তিনি দেশে ১০ হাজার প্রোগ্রামার তৈরির ব্যবস্থা করেন, ভিসেটের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালু করেন এবং কম্পিউটার সহজলভ্য করতে সব ধরনের কর এর ওপর থেকে প্রত্যাহার করেন। এই বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১১ বছরে শিক্ষার আধুনিকায়নসহ সবক্ষেত্রে আমূল রূপান্তর ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু না করলে করোনাকালে জীবন-যাপনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারতাম না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রযুক্তি হচ্ছে মানুষের জন্য, প্রযুক্তির জন্য মানুষ নয়। আমাদের সন্তানরা অত্যন্ত মেধাবী। শিক্ষকদের হাতেই তাদের মেধার বিকাশ ঘটে। এ কারণে শিক্ষক সমাজকে বিকশিত করতে না পারলে কোনো জাতি বিকশিত হতে পারে না।

Advertisement

এমইউএইচ/এফআর/এমএস