আন্তর্জাতিক

আমরা আবারও ভাইরাসকে জয় করেছি : জেসিন্ডা আর্ডার্ন

সারাবিশ্বেই যখন করোনা ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে তখন নিউজিল্যান্ড যেন অনেকটাই ব্যতিক্রম। দেশটি প্রথম থেকেই করোনা পরিস্থিতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এমনকি ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই কঠোর বিধি-নিষেধ চালু করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা।

Advertisement

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে কড়াকড়ি আবারও জারি হয়। এর আগে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় এবং দীর্ঘদিন কোনো সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা না ঘটায় দেশজুড়ে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়।

কিন্তু নতুন করে আবারও সংক্রমণ ধরা পড়ায় কর্তৃপক্ষ আবারও কড়াকড়ি আরোপ করতে বাধ্য হয়। তবে কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে নিউজিল্যান্ড আবারও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা আবারও ভাইরাসকে জয় করতে পেরেছি’। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডে কড়াকড়ি শিথিল করা হবে।

Advertisement

১০২ দিন ধরে করোনা সংক্রমণ ধরা না পড়ায় গত মে মাসে প্রথমবারের মতো করোনা জয় করতে পেরেছেন বলে ঘোষণা দেন তিনি। সে সময় দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়। লকডাউন, কঠোর বিধি-নিষেধের কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে।

প্রথম থেকেই দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিউজিল্যান্ড প্রশাসনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে আসছে বিভিন্ন দেশ। এমনকি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের কাছে আদর্শ হয়ে ওঠে জেসিন্ডা আর্ডার্নের দেশ।

কিন্তু গত আগস্টে নতুন করে বৃহত্তম অকল্যান্ড শহরে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। ফলে ১৫ লাখ মানুষের ওই শহরটিতে আবারও তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করা হয়। তবে কড়াকড়ির কারণে সেখানে গত ১২ দিন ধরে নতুন করে কোনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

এরপরেই সোমবার প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন এক ঘোষণায় জানান যে, ভাইরাস এখন নিয়ন্ত্রণে। এছাড়া দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন মেনে চলায় তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Advertisement

৫০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ৮৫৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৫ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১ হাজার ৭৯০টি। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ৪০ জন।

টিটিএন/এমকেএইচ