দেশজুড়ে

ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে নারীকে ধর্ষণ

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় সরকারি ভাতার কার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কামরুল ইসলাম (৪০) নামে গ্রাম্য মাতব্বরের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন হতদরিদ্র ওই নারী।

Advertisement

অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম চকখানপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের প্রধান মাতব্বর। এ বিষয়ে নিয়ে এলাকায় সমালোচনা চলছে।

এ ঘটনায় রোববার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে গ্রাম্য মাতব্বর কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। জানা গেছে, উপজেলার চকখানপুর গ্রামের দিনমজুরের মেয়ে (২৮) দীর্ঘদিন ধরে স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে বাবার বাড়ি অবস্থান করছেন। তার অভাব-অনটনের সংসার।

জীবিকার তাগিদে মেয়েটি মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ান। খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করেন। মেয়েটির অভাব-অনটনের সুযোগ নেন গ্রামের মাতব্বর কামরুল ইসলাম। তিনি মেয়েটিকে সরকারি ভাতার কার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলেন।

Advertisement

কার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এক মাস ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন কামরুল ইসলাম। এর পরও মেয়েটিকে ভাতার কার্ড করে দেননি তিনি।

এ অবস্থায় শনিবার রাতে মেয়েটির বাড়িতে যান কামরুল। আবারও মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ঘটনার পর থেকে কামরুল মাতব্বর পলাতক।

বগুড়ার শেরপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েটির অভিযোগ তদন্ত করে কামরুল মাতব্বরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএম/এমকেএইচ

Advertisement