করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় মাদ্রিদে আবারও লকডাউন জারি করেছে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে অন্তত ৩০ লাখ মানুষ অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাজধানীর বাইরে যেতে পারবেন না। এর চারপাশের আরও নয়টি শহরেও থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা।
Advertisement
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মাদ্রিদে এ সপ্তাহের শুরু থেকেই কার্যকর হচ্ছে আংশিক লকডাউন। নতুন নিয়মে সেখানকার বার ও রেস্টুরেন্টগুলো রাত ১০টার পর খোলা রাখা যাবে না। যেকোনও জায়গায় একসঙ্গে জড়ো হতে পারবেন সর্বোচ্চ ছয়জন।
স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার এসব বিধিনিষেধ আরোপ করলেও এর বিরোধিতা করছে মাদ্রিদ প্রশাসন। নির্দেশনাগুলো কার্যকর করা ঠেকাতে আদালতের শরণাপন্নও হয়েছিল তারা।
মাদ্রিদের বিচার বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, শহরে নতুন করে লকডাউনের ফলে আট বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হতে পারে।
Advertisement
আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট ইসাবেল ডিয়াজ আয়ুসো এক টুইটে বলেছেন, ‘অরাজকতার জন্য ধন্যবাদ, [প্রধানমন্ত্রী] পেদ্রো সানচেজ।’
ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের মতো স্পেনেও সম্প্রতি ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক ১০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। শুক্রবার সেখানে ১১ হাজার ৩২৫ জন নতুন রোগী পাওয়া গেছে, মারা গেছেন অন্তত ১১৩ জন।
স্পেনে প্রতি চারটি করোনা টেস্টে একটি পজিটিভ ফলাফল আসছে। এটিকে সেখানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ভয়াবহ সংকেত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাদ্রিদের সবচেয়ে বড় হাসপাতালটিতে প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে নতুন রোগী সংখ্যা। অনেকেরই অক্সিজেন দরকার হচ্ছে। খুব শিগগিরই শহরের অনেক হাসপাতালের আইসিইউ আবারও ভর্তি হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
Advertisement
করোনা সংক্রমণের হালনাগাদ তথ্যপ্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে, বিশ্বের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় সাত নম্বরে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩২ হাজারেরও বেশি।
কেএএ/এমএস