মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের মাইকে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
Advertisement
গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মহামারি করোনার সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। আসছে শীতে দ্বিতীয় ধাপে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং লোকজন মাস্ক ছাড়া মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঢুকছে। করোনার সংক্রমণ রোধে দেশের সকল মসজিদ থেকে প্রতিদিন মাইকে ও জুমার খুতবার সময় এবং অনুরূপভাবে অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে নিম্নলিখিত ঘোষণাসমূহ ব্যাপকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন।
ঘোষণাসমূহ হলো:ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। কিছুক্ষণ পরপর সাবান-পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড যাবত দুই হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। জামাতে নামাজ আদায় এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে চলাফেরা ও সকল কাজে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কাপড় ব্যবহার করুন বা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
Advertisement
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ সবসময় মাস্ক পরে মসজিদে প্রবেশের বিষয়টি মসজিদ কমিটি নিশ্চিত করবেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। গুজব রটাবেন না, গুজবে কান দেবেন না এবং বিচলিত হবেন না । সরকারের জারিকৃত বিধি নিষেধ এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করুন।
দেশের সকল মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের মাইক থেকে নিয়মিতভাবে ঘোষণাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রচার চালিয়ে যেতে স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ করা হয় নোটিশে।
এমইউ/এইচএ/এমএস
Advertisement