হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে দুই এলাকাবাসীর মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জেলা শহরের প্রধান সড়কে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৬ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন, পুলিশ সদস্য আলমগীর, মোজাম্মেল হক, ইয়াসিন ও আব্দুল লতিফসহ ২০ জনকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাসায় ভাঙচুর করা হয়।শায়েস্তানগরের মাহবুব ও নয়ন এবং মোহনপুরের রিপন নামে এক যুবকের মাঝে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মোহনপুর এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে নুরুল হক শায়েস্তানগরের জেকে অ্যান্ড এইচকে হাইস্কুলের জনৈক এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে। এ নিয়ে সকালে শায়েস্তানগর ও মোহনপুর এলাকার যুবকদের মাঝে কথাকাটকাটি হয়। এরই জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে কয়েকটি যানবাহন, দোকানপাট ও বাসায় ভাঙচুর করা হয়। এসময় হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মাকসুদুর রহমান মনির জাগো নিউজকে জানান, পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।সৈয়দ এখলাছুর রহমান/এমজেড/পিআর
Advertisement