সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনসমাবেশ করায় ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নামে মামলা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
Advertisement
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টার পর বৃহস্পতিবার তাদের নামে এ মামলা দেয়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে বৃহৎ জনসমাবেশ করায় ভারতের মহামারি আইনে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নামে মামলা দেয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের ইকোটেক ওয়ান পুলিশ স্টেশনে এ মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলায় কংগ্রেসের ১৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক তরুণী গত মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বিনা উপস্থিতিতে রাতের আঁধারে ওই তরুণীর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।
ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে পুলিশ। সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে বৃহৎ জনসমাবেশ করায় তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানায় উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেন, দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গতিরোধ করে গাড়িবহর আটকে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে দলের নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। ভিডিওতে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে রাহুল গান্ধীকে বলতে শোনা যায়, আমাকে কেন আটক করছেন? আমাকে আটকের কারণ কি? গণমাধ্যমের কাছে পরিষ্কার করুন।
Advertisement
তখন পুলিশের এক সদস্যকে বলতে শোনা যায়, সরকারি বিধির ১৮৮ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে আটক করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পথরোধকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন রাহুল গান্ধী। পরে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে যান কংগ্রেসের অন্যতম এই নেতা।
এসআর