দেশজুড়ে

ফের পেছালো কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পিছিয়েছে। কারাগারে থাকা সব আসামি ও তাদের আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় এ নিয়ে তিনবার পেছাল এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবারও সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টা থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের পঞ্চম দিনে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসানের আদালতে ২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আসামিরা উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।মামলায় কারাগারে আটক থাকা ১৪ আসামির মধ্যে বুধবার পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য মামলায় হাজিরা ও অসুস্থতার কারণে বাকিদের হাজির করা হয়নি।এছাড়া, তাদের আইনজীবীরাও উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি আদালত। একই কারণে গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।চাঞ্চল্যকর এই মামলার ৩২ আসামির মধ্যে আটজন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদীপক্ষ আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী, হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন আরও তিন সাক্ষী আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী। মামলায় ১৭১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। টানা নয় দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ সকল আসামির উপস্থিতিতে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান অভিযোগ গঠন করেন। মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিকের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ।প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন।    ছামির মাহমুদ/এমজেড/পিআর

Advertisement