বছর, মাস অতিক্রম করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন এখন একেবারে দোরগোড়ায়। সব প্রস্তুতি শেষ। ৩৪ জন প্রার্থী ভোটারদের মন জেতার চেষ্টায়। ভোটাররাও খোশ মেজাজে। আজ এক পরিষদের নিমন্ত্রণ তো পরদিন আরেক পরিষদের।
Advertisement
২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থী-ভোটারদের মহব্বত থাকবে। ৩ অক্টোবর সন্ধ্যার পরই জানা যাবে আগামী চার বছরের জন্য ফুটবলের দায়িত্ব পড়ছে কাদের হাতে। ফুটবলামোদীদের চোখ অবশ্য সভাপতি পদটির দিকে বেশি। তিনজন প্রার্থী লড়ছেন ফুটবলের বড় চেয়ারের জন্য। তিনজনই দেশের সাবেক তারকা ফুটবলার।
বাদল রায় ও শকিফুল ইসলাম মানিক জিতলে সভাপতির চেয়ারে প্রথম বসবেন। কাজী মো. সালাউদ্দিন জিতলে চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব নেবেন দেশের ফুটবলের। বাদল রায় নির্বাচন থেকে সরে গিয়েও পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। শফিকুল ইসলাম মানিক শেষ পর্যন্ত লড়বেন ঘোষণা দিয়ে ভোটের মাঠে দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছেন।
তো নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে তখন কি ভাবছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। দুই প্রতিপক্ষকেই কীভাবে দেখছেন তিনি। এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমের কাছে প্রতিপক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন দেশের সর্বকালের সেরা এ ফুটবলার।
Advertisement
সভাপতি পদে কাজী মো. সালাউদ্দিনের দুই প্রতিপক্ষই তার চেয়ে বয়সে ছোট। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া বাদল রায় তার সহকর্মী হিসেবে দীর্ঘ ১২ বছর কাজ করেছেন বাফুফেতে। শফিকুল ইসলাম মানিক নতুন। অনেকে মনে করছেন তিন প্রার্থীর মধ্যে ভালো অবস্থানে আছেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। কিন্তু কাজী মো. সালাউদ্দিন মনে করছেন কঠিন লড়াই হবে।
কেন কঠিন মনে করছেন তিনি? আগের তিন নির্বাচনের দুইবারই তো ভোটে সহজেই প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন। এবার তিনি আগে ভোট করা দুইবারের চেয়ে কঠিন লড়াই হবে মনে করছেন। তার সমর্থক-ভক্তরা সেটা মনে না করলেও কাজী সালাউদ্দিন পরিষ্কার বলেছেন, ‘খেলোয়াড়ী জীবনে কখনো প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখিনি। আমার কাছে বড় ক্লাব ছোট ক্লাব ছিল না। সবসময় প্রতিপক্ষকে গুরুত্ব দিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। ভোটেও তাই।’
বছরজুড়ে কাজী মো. সালাউদ্দিকে নিয়ে সমালোচনা হয়। তার বিরুদ্ধে নানা কথা ওঠে। কেন? কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘তারা টিভি টকশোতে গিয়ে সমালোচনা করেন। ফুটবলের কি কাজ করেছে দেখান। টকশো ছাড়া দৃশ্যমান কিছু আছে? এই সমালোচনাকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। আমি তাদের বলেছিলাম আপনারা মাঠে আসেন অন্তত বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করেন। কেউ কি করেছেন?’
কাজী সলাউদ্দিনের অনেক সমালোচকই তার সঙ্গে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনের সময় ঐক্য থাকে। নির্বাচনের পর ঐক্য থাকে না কেন? সালাউদ্দিনের জবাব, ‘আমি রাজনীতি করি না। আমার সিদ্ধান্ত সঠিক না হলে আমাকে বলুক। বাইরে গিয়ে বলার কি আছে?’
Advertisement
যারা সভাপতি পদে পরিবর্তন চেয়ে প্যানেল ঘোষণা করেছেন তারা তো শফিকুল ইসলাম মানিককে সমর্থনও দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে কি বলবেন? এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বাফুফে সভাপতি।
আরআই/আইএইচএস/এমএস