বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সরকার ডিক্টেটর নয়, নাৎসিবাদের পর্যায়ে চলে গেছে। ডিক্টেটরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাকে পরাজিত করা যায়। কিন্তু নাৎসিবাদকে পরাজিত করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত যুদ্ধের প্রয়োজন হয়।
Advertisement
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যঙ্গ করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট কাহিনী নির্ভর কুরুচিপূর্ণ প্রচারের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী বলেন, আজকে যখন ক্ষমতার লোভে, হালুয়া-রুটির লোভে, কয়েকজন তথাকথিত সংস্কৃতিজীবীরা যাদের কোনো লেখা নাটক, কবিতা অথবা গান মানুষ কোনো দিন শুনেছে কি-না জানি না, তারা এটা নাটক লিখেছে ‘ইনডেমনিটি’ নামে। এটা একটা চটি, বস্তাপচা একটা নাটক, সেটা কি কেউ জানে না? কিন্তু যেহেতু ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করতেই, সরকারকে সন্তুষ্ট করতে এ নাটক বানানো হয়েছে। ধমক দিয়ে, হুমকি দিয়ে গণমাধ্যমকে বাধ্য করছে এটা প্রচারের জন্য।
তিনি আরও বলেন, যারা নাটকটা লিখেছে তাদের নাম কি আপনারা কেউ শুনেছেন? শোনেননি। কত বিখ্যাত বিখ্যাত লোকের নাম আমরা শুনেছি। কিন্তু এদের নাম কেউ শোনেনি। কেউ যখন এগিয়ে আসেনি তখন এদেরকে ভাড়া করা হয়েছে। তারাও দেখেছে আওয়ামী লীগ করলে টাকা পাচার করা যায়, ছাত্রলীগের নেতা শামীম দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করতে পারে, তারাও ভেবেছে আমরাও একটু দালালি করে দেখি দুই-তিন কোটি টাকা উপার্জন করা যায় কি-না। ওরা দেখে আওয়ামী লীগ করলে ঢাকা শহরে ৫২টি ক্যাসিনো চালানো যায় এবং কোটি কোটি টাকা ওখান থেকে উড়ে চলে যায় পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। তাই আমরাও চেষ্টা করি। জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, দেশের বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যার ঘোষণা না আসলে এই দেশের মানুষ দিকনির্দেশনাহীন থাকতো, মানুষকে যিনি দিশা দেখিয়েছেন, তাদেরকে অপমান করার জন্য এই নাটকটি লিখেছেন।
Advertisement
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে। এইসব সংস্কৃতিজীবীরা বেশি বেশি করে এসব কথা বলে। তারা এ নাটক লিখেছে। কারণ এর পিছনে আছে টাকার লোভ, হালুয়া-রুটির লোভ, পোলাও মাংসের লোভ। আরেকদিকে এই সময়ের সাংস্কৃতিক বীর আবু সালেহ নির্দ্বিধায় বুক চিতিয়ে গুম, মামলা-হামলার ভয় উপেক্ষা করে তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছে। এই সরকার এই মামলা কখনো কোর্টে ঠিকতে দেবে না, কারণ কোর্ট তাদের, আদালত তাদের। বিরোধীদলকে শাস্তি দেয়ার জন্য, দমন করার জন্য আদালতকে তারা কসাইখানায় পরিণত করেছে। সাংস্কৃতিক বীর আবু সালেহ, অন্যদিকে এই নাটকটি সাথে যারা জড়িত তারা সাংস্কৃতিক কাপুরুষ।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার দুই পায়ের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। একটা হচ্ছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, আরেকটি হচ্ছে তাদের সাজানো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই দুই পায়ের উপরে সরকার দাঁড়িয়ে আছে।
কেএইচ/এমএসএইচ/পিআর
Advertisement