অর্থনীতি

কর আদায়ে হয়রানি বন্ধের আহ্বান ব্যবসায়ীদের

কর আদায়ে হয়রানি বন্ধ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)`র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এনবিআর`র সম্মেলন কক্ষে ঢাকা চেম্বর অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) প্রকাশিত ‘ট্যাক্স গাইড-২০১৫-১৬’-এর মোড়ক উন্মোচনকালে এ আহ্বান জানান তারা।মোড়ক উন্মোচন করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে রাজস্ব বোর্ডকে বন্ধুসূলভ হতে হবে। কোনো রকমের চাপ অথবা হয়রানি করা যাবে না। ভয়ভীতিও না দেখানোর জন্য আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।কর বিষয়ক সতর্কতা বাড়াতে জেলা চেম্বারদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন উল্লেখ করে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, যাতে নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসায় নেমে তাদের মধ্যে করের বিষয়ে কোনো রকম ভয়ভীতি কাজ না করে। কারণ ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, যাদের সব সময় ব্যবসা হয় না। তাই কর দিতে পারে না। কিন্তু প্রতি বছর ব্যবসায়ীরা ১ লাখ টাকা কর দিলেও তা আরো ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে কর চাওয়া হয়। ফলে পরের বছর ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কর দিতে হয়। কিন্তু তাদের তো সব সময় ব্যবসা হয় না।হোসেন খালেদ আরও বলেন, এই ট্যাক্স গাইডের (ট্যাক্স গাইড-২০১৫-১৬) মাধ্যমে নতুন ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন। ঢাকা চেম্বারের ৪ হাজার সদস্য রয়েছে, যারা এই ট্যাক্স গাইড ফ্রি পাবেন।আগের মতো ব্যবসা হচ্ছে না উল্লেখ করে ডিসিসিআইয়ের পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। প্রতি বছর বিনা কারণেই ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ড ব্যবসায়ীদের এসব হয়রানি বন্ধের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাহলে সব ব্যবসায়ী সমানভাবে কর দিতে পারবেন।হয়রানির বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করছে। আর এসব কারণে এক প্রকার ভয়ের মধ্যে আছে ছোট ছোট ব্যবসায়ী মহল। ব্যবসায়ীরা বাড়তি কর না দিলে এনবিআর মামলা ঠুকে দেয়। এখানে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের সময় বেধে দিতে পারেন। সময় পার হয়ে গেলে বরং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তলব করতে পারেন। তবে হয়রানির উদ্দেশ্যে নয়।এ সম্পর্কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, কোনো রকমের হয়রানি করা হবে না। এনবিআর আগের চেয়ে অনেক ব্যবসায়ী-বান্ধব হয়েছে। আমরা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জিরো টলারেন্সের ব্যবস্থা করেছি। তাই আশা করি এই ধরনের সমস্যা আর হবে না।এ সময় অনুষ্ঠানে এনবিআরের বিভিন্ন উইংয়ের সদস্যসহ ডিসিসিআইয়ের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।এসআই/আরএস/আরআইপি

Advertisement