সকালেও তিনি সুস্থ ছিলেন। বেলা গড়িয়ে দুপুরের দিকে যেতেই শোনা গেল দুঃসংবাদ, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্স আর নেই। আকস্মিক হার্ট অ্যাটাক হলো, হাসপাতালে নিতে নিতেই সব শেষ।
Advertisement
স্টার স্পোর্টস কমেন্ট্রি প্যানেলের হয়ে দায়িত্ব পালন করতে ভারতের মুম্বাইয়ে ছিলেন জোন্স। আইপিএলে আগের রাতেও (বুধবার) ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচে। পরের দিনই (বৃহস্পতিবার) চলে গেলেন না ফেরার দেশে, বয়স ৫৯ পেরুতেই।
মুম্বাইয়ের একটি সেভেন স্টার হোটেলে জৈব সুরক্ষিত বলয়ে ছিলেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। স্টার স্পোর্টসে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতিতারকা ব্রেট লিও।
জোন্সের সঙ্গেই সকালের নাস্তা করেছিলেন ব্রেট লি। তারপর আবার বাইরে ঘুরতেও গিয়েছিলেন জোন্স। দুপুরের খাবারের সময় তখন হচ্ছে প্রায়। হোটেলের লবিতে ঢোকার পর হঠাৎ বুকের ব্যথায় পড়ে যান জোন্স। ব্রেট লি পাগলপ্রায় হয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, দিয়েছিলেন প্রাথমিক চিকিৎসা ‘সিপিআর’। কিন্তু মৃত্যু তো অমোঘ বিধান। যখন ডাক আসে, তখন আর থাকার উপায় নেই।
Advertisement
‘ডেইলি মেইল অস্ট্রেলিয়া’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হোটেলের লবিতে ব্রেট লিকে সঙ্গে নিয়েই ঢুকেছিলেন জোন্স। হঠাৎ পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই ব্রেট লি ‘সিপিআর পদ্ধতি’তে (বুকে হালকা চাপ দিয়ে দম দেয়ার চেষ্টা) বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করেন জোন্সকে। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটার।
‘ডেইলি মেইল অস্ট্রেলিয়া’ আরও বলেছে, ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাইরে ঘুরতেও বেরিয়েছিলেন জোন্স। লাঞ্চ টাইমের আগে হার্ট অ্যাটাক হয় তার।’
জোন্সের এমন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো ক্রিকেট দুনিয়া। ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হর্শে ভোগলে টুইট করেন, ‘না, আমি বাকরুদ্ধ। সেইসঙ্গে স্মম্ভিত। মেনে নিতে পারছি না।’
ধারাভাষ্যকার হিসেবে নাম কামানোর আগে ১০ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনটাও বেশ সমৃদ্ধ ছিল জোন্সের। ১৯৮৪ সালে অভিষেকের পর দেশের হয়ে ৫২ টেস্টে ৪৬.৫৫ গড়ে ১১ সেঞ্চুরিসহ করেন ৩ হাজার ৬৩১ রান। ওয়ানডেতে খেলেছেন ১৬৪ ম্যাচ। ৪৪.৬১ গড়ে ৭ সেঞ্চুরি ও ৪৬ হাফসেঞ্চুরিত এই ফরমেটে করেছেন ৬ হাজার ৬৮ রান।
Advertisement
এমএমআর/এমএস