জাতীয়

জাতিসংঘের গ্লোবাল উইম্যান অব অ্যাকশন পুরস্কার পেলেন ডা. হাসরাত

মহিলা ও শিশুদের সার্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিরুপ জাতিসংঘের ‘গ্লোবাল উইম্যান অব অ্যাকশন’ পুরস্কার পেয়েছেন রোটারি ক্লাবের ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ডা. হাসরাত আরা বেগম। আগামী ৭ নভেম্বর বার্ষিক রোটারি দিবসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।মানবতার সেবায় গুরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ চলতি বছর ডা. হাসরাতসহ বিশ্বের মোট ছয়জন রোটারিয়ানকে গ্লোবাল উইম্যান অব অ্যাকশন পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এশিয়া মহাদেশ থেকে ডা. হাসরাত  এ পুরস্কার পান।অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে রোটারি ক্লাবের (আরআই ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১) ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এসএ এম শওকত হোসেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যাবেন।আগামী ৭ নভেম্বর বার্ষিক রোটারি ডে ও বাংলাদেশের রোটারিয়ানের আন্তজার্তিক  এ সাফল্য তুলে ধরতে আজ  রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে রোটারি ক্লাবের সার্বিক কার্যক্রম ও ডা. হাসরাতের কর্মজীবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এসএ এম শওকত হোসেন। বক্তব্য রাখেন সাবেক ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর কে এম জয়নুল আবেদিন,  ডিস্ট্রিক্ট ট্রেইনার এম হাফিজউল্ল্যাহ, মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর আবুল খায়ের চৌধুরী প্রমুখ। ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এসএ এম শওকত হোসেন জানান, ১০০ বছরেরও বেশী সময় ধরে বিশ্বে মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে রোটারি ক্লাব। বর্তমানে বিশ্বের ২০০টি দেশে ৩৪ হাজার রোটারি ক্লাবে ১২ লাখ রোটারিয়ান রয়েছে। বাংলাদেশেও সাড়ে ৮ হাজার রোটারিয়ান রয়েছে।জাতিসংঘের গ্লোবাল উইম্যান অব অ্যাকশন পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্বের ২০০টি দেশের ৫৩৬টি ডিস্ট্রিক্ট রোটারি ক্লাবের কাছ থেকে মানবতার সেবায় গুরত্বপূর্ণ অবদানের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন এমন রোটারিয়ানের নাম পাঠাতে বলা হয়। জাতিসংঘে মোট ১০০টি নমিনেশন জমা পড়ে। সেখান থেকে যাচাইবাছাই করে মোট ছয়জনকে পুরস্কৃৃত করে। প্রতি বছর বিভিন্ন থিমের ওপর এ  পুরস্কার দেয়ার রেওয়াজ গত বছর থেকে চালু হয়। বাংলাদেশ থেকে ডা. হাসরাত ছাড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ জন, জার্মানি, জিম্বাবুয়ে ও অষ্ট্রেলিয়া থেকে ১জন করে পুরস্কার পায়।এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ডা. হাসরাত জানান, তিনি গত ৩০ বছর যাবত নারী ও শিশু স্বাস্থ্যসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছেন। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। বর্তমানে মেরি ষ্টেপস ইন্টারন্যাশনালে লন্ডনে কর্মরত। গত আট বছর যাবত রোটারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ঢাকার অদুরে কেরানীগঞ্জের ওয়াাশপুরে গত পাঁচ বছর যাবত একটি মিনি নারী ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালাচ্ছেন। এ সময়ে ৩৭ হাজার নারী ও শিশুকে সেবা প্রদান করেছেন । দুই হাজার শিশুকে পূর্ণাঙ্গ টিকা প্রদান, ৫ হাজার মহিলাকে জম্ম নিয়ন্ত্র্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে অভ্যস্ত করেছেন। এ সাফল্যে তিনি আনন্দিত ও গর্বিত। তিনি বলেন, সরকারের একার পক্ষে সব করা সম্ভব নয়। তিনি সাধ্যমতো সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।এমইউ/এআরএস/আরআইপি

Advertisement