আন্তর্জাতিক

মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা তুলে নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড

মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা তুলে নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির বেশিরভাগ স্থানে গণপরিবহনে এখন আর মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকছে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকায় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বিবিসির।

Advertisement

বুধবার রাত থেকেই অকল্যান্ড শহরে মাস্ক ব্যবহারের কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও ওই শহরে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। তবে কর্তৃপক্ষের কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে সংক্রমণ আবারও কমতে শুরু করেছে।

তবে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইটে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা থাকছেই। অকল্যান্ড শহর ছাড়া অন্যান্য শহরগুলোতে গত সোমবার থেকেই কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরেই কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে নিউজিল্যান্ড। ফলে সেখানে সংক্রমণ অনেক ধীর গতিতে ছড়িয়েছে। দেশটিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুহারও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।

Advertisement

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই সব দেশের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রায় একশ দুই দিন দেশটিতে নতুন করে কোনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কিন্তু এরপরেই দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।

গত কয়েক সপ্তাহে বৃহত্তম অকল্যান্ড শহর করোনার নতুন হটস্পটে পরিণত হয়। সেখানে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকায় নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। কয়েক সপ্তাহের বিধি-নিষেধের পর ওই শহরে আবারও সংক্রমণ কমতে শুরু করায় কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৬৮ জন। অপরদিকে মারা গেছে ২৫ জন। অন্যান্য দেশের তুলনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সেখানে তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

গত সাতদিনে নতুন করে কোনো সংক্রমণ ধরা না পড়ায় নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে ধাপে ধাপে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে সবার পরে অকল্যান্ডের ওপর থেকে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

তাই ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন শহরে জীবন-যাত্রা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই সামাজিক দূরত্ব এবং জন সমাগমেও আগের মতো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।

লোকজন এখন কোনো কড়াকড়ি ছাড়াই আবারও স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারবেন। এছাড়া গণপরিবহনে তাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়।

সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, কমিউনিটির মধ্যে করোনার সংক্রমণ না ঘটলে সাধারণ লোকজনের মুখ ঢেকে রাখার প্রয়োজন নেই। তবে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহারে এখনও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। নিউজিল্যান্ডে যে কোনো বিমানের ফ্লাইটে যাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

টিটিএন