রাজনীতি

‘১৯৭৬ পৃষ্ঠার নির্দেশনাও স্বাস্থ্য খাতের নৈরাজ্য কমাতে পারেনি’

করোনা মোকাবিলায় সরকার এ পর্যন্ত যা নির্দেশনা জারি করেছে তার পরিমাণ এক হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠা। কিন্তু এসব নির্দেশনা স্বাস্থ্যখাতের নৈরাজ্য কমাতে পারেনি। বরং এক পৃষ্ঠার সরকারি নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের দ্রুত সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

Advertisement

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার এক বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘করোনায় সংক্রমণ ধরা পড়ার ২০০ দিনের মাথায় বাংলাদেশে পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। যদিও সরকার দাবি করছে, কোভিড ১৯ মোকাবিলায় যে সকল নির্দেশনা জারি করেছে তার পরিমাণ এক হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠা। এ সকল নির্দেশনা জনজীবনের সুরক্ষায়, স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি প্রতিকারে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।’

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘সংক্রমণ এবং মৃত্যু অব্যাহত থাকার মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নিজেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন- শীতকালে করোনা ভাইরাসের আরও অবনতি হতে পারে এবং বাংলাদেশ দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করছেন। শীতকালীন করোনা মোকাবিলা নিয়ে সরকার নিজ নিজ মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু ভঙ্গুর, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অদক্ষ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা দিয়ে করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য খাতের লণ্ডভণ্ড অবস্থা এবং দুর্নীতির যে চিত্র উন্মোচিত হয়েছে তারপরও এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অক্ষত রেখে যেকোনো পরিকল্পনা হবে মানুষের মূল্যবান জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার প্রচেষ্টা।’

Advertisement

নেতারা বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকারের এক হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠার নির্দেশনা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। এখন শুধু দরকার এক পৃষ্ঠার একটি নির্দেশনা, যার মাধ্যমে লণ্ডভণ্ড স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক সংস্কারে জনগণের জীবন সুরক্ষা পাবে, স্বাস্থ্য খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণ চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা পাবে।’

স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের লক্ষ্যে দলটির পক্ষ থেকে তিন দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল (NHC) গঠন করতে হবে; জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলে চিকিৎসা পেশায় সংশ্লিষ্টদেরসহ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অধিকারী সাংবাদিক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী ব্যাংকারসহ সমাজের বিভিন্ন অংশীজনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলের পরামর্শ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে করোনার ভয়াবহতা মোকাবেলাসহ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এইউএ/এফআর/এমএস

Advertisement