লাইফস্টাইল

সন্তান বুলিংয়ের শিকার হলে কী করবেন?

মা-বাবার জন্য সবচেয়ে খারাপ লাগার একটি অনুভূতি হলো, যখন তার ছোট্ট সন্তানটি স্কুলে বুলিংয়ের শিকার হয়। বুলিং ব্যাপারটা শিশুদের শারীরিক কিংবা মানসিক দু’ভাবেই আঘাত করতে পারে ।এটি একটি বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা যা শিশুর মানসিকতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার শিশু বুলিংয়ের শিকার কি-না তা বোঝার জন্যে সর্তক থাকুন।

Advertisement

যদি এমনটা মনে হয় যে আপনার শিশু বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে কিন্তু বলতে চাচ্ছে না, তাহলে খুব কাছ থেকে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। বিভিন্নভাবে বুলিং হতে পারে যেমন-সবার সামনে আপনার শিশুকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা, বাজে কথা ছড়ানো, মারধর করা ,বকুনি দেয়া ইত্যাদি। এসব ব্যাপার মানিয়ে নেয়া শিশুদের কাছে খুব কঠিন হয়ে পরে। আপনার শিশু যাতে সাহসিকতার সাথে বুলিং মোকাবেলা করতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করতে হবে আপনাকেই। বিস্তারিত প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

শিশুর সাথে কথোপকথনশিশুকে আপনার সাথে কথা বলার জন্য উৎসাহিত করুন। তবে সরাসরি তার থেকে জানতে চাইবেন না যে, সে বুলিং এর শিকার হচ্ছে কি-না। তারপরিবর্তে আপনি শিশুর সাথে সেসব লোকদের সম্পর্কে বলুন যারা অন্যদেরকে কথা বা কাজের মাধ্যমে কষ্ট দিয়ে থাকে। এসব করা মোটেও ভালো কাজ নয় তা বুঝিয়ে বলুন। মাঝে মাঝে তার স্কুলের বন্ধুদের সম্পর্কে জানতে চান, কাদের সে পছন্দ করে না এবং কেন করে না। কথা বলার সময় যাতে শিশুরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেদিকে নজর রাখুন।

অথোরিটির কাছে রিপোর্ট করতে বলুনশিশুরা সাধারণত তাদের বাবা-মা বা অভিভাবকদের বুলিংয়ের বিষয়ে অবহিত করে না কারণ তারা বুঝতে পারে না যে এটি কেন ঘটছে। সেজন্য আপনি শিশুকে বুঝিয়ে বলুন যে, এতে তাদের কোনো দোষ নেই। ব্যাপারগুলো অন্যরা তোমাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। আপনার শিশুকে তাদের পছন্দের শিক্ষক, পরামর্শদাতা, অধ্যক্ষ বা স্কুল প্রশাসককে বুলিংয়ের ব্যাপারে রিপোর্ট করতে বলুন।

Advertisement

বুলিংয়ের প্রতিবাদ করতে বলুনআপনার শিশুকে শিখিয়ে দিন যে কষ্ট না পেয়ে বা কান্নাকাটি না করে আত্মবিশ্বাসের সাথে বুলিংয়ের প্রতিবাদ করতে। বুলিংয়ের ফলে তাদের কেমন অনুভব হয় সেটা বুঝিয়ে বলতে, যাতে বুলিংকারী এসব বন্ধ করে।

বুলিং হচ্ছে প্রতিক্রিয়াশিশুকে বলুন যে, বুলিং ব্যাপারটা হচ্ছে একটি প্রতিক্রিয়া যেমন- তোমাকে রাগিয়ে তুলবে বা কষ্ট দেবে এমন কিছু। যারা বুলিং করে তারা যদি বুঝতে পারে এতে তুমি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছ না তাহলে তারা সেটি এড়িয়ে যাবে। আপনার শিশুকে প্রতিক্রিয়া না জানাতে বলুন। যেন সে এমন ভাব নেয় যে সে কিছুই শোনছে না।

শিশুকে বন্ধুদের সাথে থাকতে বলুনযেসব শিশুরা একা থাকে বা বেশি বন্ধু নেই তারাই বুলিংয়ের শিকার হয় বেশি। বন্ধুরা পাশে থাকলে বুলিং ব্যাপারটা তেমন ঘটে না। আর শিশুরা বুলিংয়ের প্রতিবাদ করতে বা মানিয়ে নিতে কিছু সময় নিতে পারে।

মামুন খান/এইচএন/এএ/জেআইএম

Advertisement