নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় ১০ মিনিটের ঝড়ে দুইটি গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের জগদাশ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী বিশা ইউনিয়নের ইসলামগাতী গ্রামের উপর দিয়ে আকস্মিক এ ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ উত্তর দিকে থেকে প্রচণ্ড বেগে ঘূর্ণিঝড় এসে দক্ষিণে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের জগদাশ গ্রাম ও পার্শ্ববতী ইসলামগাতী গ্রামের উপর দিয়ে চলে যায়। প্রায় ১০ মিনিটের এ ঘূর্ণিঝড়ে দুই গ্রামের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে ও ইটের ঘরের প্রাচীর ভেঙে গেছে। এছাড়াও বিদ্যুতের কয়েকটি খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
রাত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। এছাড়া গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে অনেক বাড়ির ওপর পড়েছে। এ সময় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রাস্তার ওপর গাছপালা ভেঙে পড়ায় আত্রাই থেকে সিংড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো অপসারণ করে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।
Advertisement
জগদাশ গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হঠাৎ করেই উত্তর দিক থেকে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে এসে দক্ষিণ দিকে চলে যায়। ঘূর্ণিঝড় ১০ মিনিটের মতো স্থায়ী হয়। এতে প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
একই গ্রামের আবু বক্কর বলেন, তার ইটের বাড়ির চারটি ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ ভেঙে পড়ায় প্রাচীর ভেঙে গেছে। কিছু টিন আত্রাই নদীতে পড়ে আছে। বাকি টিনগুলো কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবার পরিজন নিয়ে রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
একই কথা জানান জালাল উদ্দিন। তার মাটির বাড়ির টিনের ছাপড়ার চালা উড়ে গেছে। তবে কয়েকটি উড়ে যাওয়া টিন পাশেই পড়ে ছিল। সকালে গিয়ে সেগুলো নিয়ে এসেছেন। বাকিগুলোর কোনো হদিস মেলেনি। এরকম ঘূর্ণিঝড় তিনি কখনো দেখেননি বলেও জানান।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সানাউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে টিনের চালার ঘরগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ ও ত্রাণের চাল দেয়া হচ্ছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
Advertisement
আব্বাস আলী/এফএ/জেআইএম