আল্লাহর কাছে সেরা পছন্দনীয় কাজ হলো তাঁর কাছে বান্দার ছোট হওয়া। কোনো কিছু চাওয়া বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। এ কারণেই মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য কল্যাণ কামনার সেরা আবেদন তুলে ধরেছেন।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা জানতেন যে, মানুষ তাঁর কাছে কী কী বিষয়ে প্রার্থনা করবে। সবার প্রার্থনা এক রকম হবে না তা-ও তিনি জানতেন। যেমন- কেউ দুনিয়ার কল্যাণ কামনা করবে, যাদের ব্যাপারে পরকালের কোনো অংশ থাকবে না।
আবার কেউ কেউ উভয় জাহানের আবেদন করবে; আর তা হবে মুমিনের আবেদন। এ কারণেই মুমিনের জন্য কল্যাণের সে আবেদনও আল্লাহ তাআলা এভাবেই তুলে ধরেছেন-رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِউচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতিনা ফিদদুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আজাবান্নার।’অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়ার কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতের কল্যাণ দান কর। আর আগুনের (জাহান্নামের) আজাব থেকে বাঁচাও।’
মুমিনের চিন্তার বিষয়…কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য তুলে ধরেছেন কি চমৎকার আবেদন! যেন তাঁর শেখানো ভাষায়, তাঁরই কাছে কল্যাণের আবেদন করতে পারে মুমিন।
Advertisement
তা-ও আবার শুধু এ দুনিয়ার কল্যাণের আবেদনই নয় বরং আখিরাতের কল্যাণ তথা সফলতার আবেদনও রয়েছে এ দোয়ায়। যোগ করা হয়েছে আরও বেশি আবেগ ও অনুভূতির আহ্বান-‘হে আল্লাহ! তুমি যে জাতিকে ভালোবেসে সৃষ্টি করেছ, তাকে তুমি জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ কর না বরং তাকে জাহান্নামের আগুন থেকেও মুক্তি দাও।’
মুমিন মুসলমানের জন্য অপরিহার্য যে, কুরআনুল কারিমে উল্লেখিত এ দোয়ার মাধ্যমে নিজেদের কল্যাণের দরখাস্ত মহান রবের কাছে করে যাওয়া।
যদিও এ দোয়াটি কাবা ঘর তাওয়াফের সময় রোকনে ইয়ামেনি থেকে রোকনে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত স্থানে পড়া উত্তম। কিন্তু সে তো হজ-ওমরা কিংবা কাবা শরিফ জেয়ারতের সময়। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় এ দোয়া পড়তেন। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-- হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের প্রায় সময়ই এ দোয়া পড়তেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
- হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারির বর্ণনায় এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের সালাম ফেরানোর আগে অর্থাৎ শেষ বৈঠকে এ দোয়া পড়তেন।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁরই শেখানো ভাষায় উভয় জাহানের কল্যাণ লাভে বিশ্বনবির দেখানো পদ্ধতিতে বেশি বেশি এ দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার কল্যাণ, পরকালের সফলতা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস