ভ্রমণপ্রিয় মানুষের চোখে নিরাপদ শহর কোনটি? অনেকেই বলবেন, সন্ধ্যার পর কিংবা গভীর রাতে ল্যাম্পপোস্টের নিয়ন আলোয় হেঁটে বেড়ানোর পরিবেশ। তবে এসব পাওয়া যাক বা না যাক, বেড়ানোর সময় ভ্রমণপ্রেমীরা ঠিকই নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আশা করেন।
Advertisement
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অবকাঠামো ও ব্যক্তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
তাই জেনে নিন নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ শহরগুলো সম্পর্কে-
টেক্সাসের ল্যারেডো: এর জনসংখ্যা ২,৬১,৬৩৯ জন। শহরটি আমেরিকার অন্যতম নিরাপদ শহর। যেখানে প্রতি ১ লাখ মানুষের ভেতর অপরাধে লিপ্ত থাকে ৩৭৭ জন। যা জাতীয় গড়ের তুলনায় ১১ শতাংশ কম।
Advertisement
ক্যালিফোর্নিয়ার আনাহিম: এর জনসংখ্যা ৩,৫২,০০৫ জন। শহরটিতে ডিজনিল্যান্ড থিম পার্ক অবস্থিত। ২০১৮ সালে শহরটিতে মাত্র ৭টি খুন হয়েছিল। প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে অপরাধে জড়িতের সংখ্যা জাতীয় গড় ২.৫ শতাংশের কম।
কেন্টাকির লেক্সিংটন: এর জনসংখ্যা ৩,২৩,৭৮০ জন। শহরটি রাজ্যের একদম কেন্দ্রে অবস্থিত। জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য উচ্চতর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২০১৮ সালের তথ্য অনুসারে, প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৯১ জন অপরাধের সাথে যুক্ত। জাতীয় গড়ে ২৪৭ জন অপরাধ করে থাকে।
আইডাহোর বোইস: আইডাহোর বৃহত্তম শহর এটি। যেখানে প্রতি ১ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ২০০ জনের নিচে সহিংস অপরাধের সাথে জড়িত। এমনকি ২০১৮ সালে শহরটিতে কেবল একটি হত্যার খবর পাওয়া গেছে।
টেক্সাসের ইরভিং: এটি দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল রাজ্যের বড় শহর। যেখানে প্রতি ১ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ২০৯ জনের মত সহিংস অপরাধে জড়িত। যা জাতীয় গড়ের তুলনায় ৪৫ শতাংশ কম।
Advertisement
সুতরাং অপরাধের ধরন দেখেই বোঝা যায়, উল্লেখিত শহরগুলোতে ভ্রমণ করা অনেকটাই নিরাপদ। তাই অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন শহরগুলো থেকে।
এসইউ/এএ/এমকেএইচ