সুড়ঙ্গ বা আন্ডারপাসের কথা শুনলেই গা ছমছম করে। অন্ধকার সুড়ঙ্গে ভ্রমণ করার জন্য মন যেমন অস্থির হয়; ঠিক তেমনই ভয়ও লাগে। তবে সুড়ঙ্গ যে শুধু অন্ধকারাচ্ছন্ন বা বদ্ধ হয়ে থাকে, এমন নয়। বরং আলো আর রঙের প্রাচুর্যে ভরপুরও হয়। আয়্যারল্যান্ডের এমন কিছু অন্ধকার সুড়ঙ্গ সম্পর্কে জেনে নিন–
Advertisement
দ্য ডার্ক হেজেস: উত্তর আয়ারল্যান্ডের দ্য ডার্ক হেজেস সুড়ঙ্গটি সত্যিই প্রশংসনীয়। সব দেশের দর্শনার্থীদের কাছে এ প্রাকৃতিক বিস্ময়টি খুবই আকর্ষণীয়। এখানে আসা শিল্পীরা এ সুড়ঙ্গের সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকেন। সাধারণ দর্শনার্থীরা তোলেন ছবি। ওয়েডিং ফটোগ্রাফির জন্যও সুড়ঙ্গটি খুবই জনপ্রিয়। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘গেম অব থ্রোনস’র মধ্য দিয়ে ‘কিংস রোড’ হিসেবে খ্যাত টানেলটি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে আছে।
সিঁড়ি সুড়ঙ্গ: কর্ক হারবারের স্পাইক দ্বীপটি একসময় কারাগার এবং একটি দুর্গ হিসাবে ব্যবহৃত হতো। এটি এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় সুড়ঙ্গ। দ্বীপটি ১৬০০ সালে চোরাচালানকারী বন্দর হিসাবে ব্যবহৃত হতো। যা ২০২০ সালে সুড়ঙ্গ হিসাবে আবিষ্কার করা হয়। এটি কয়েক দশক ধরে মাটির নিচে অবরুদ্ধ ছিল। দেয়ালের নিচে চলমান এ সুড়ঙ্গ ‘স্যালি বন্দর’ নামে পরিচিত। সুড়ঙ্গটি দরজা দিয়ে সুরক্ষিত। সুড়ঙ্গটি আবিষ্কার হওয়ার পর ২০২০ সালে প্রথম দরজা খোলা হয়।
গোগিন্স হিল টানেল: ১৯৬১ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়। আয়ারল্যান্ডের দীর্ঘতম পরিত্যক্ত সুড়ঙ্গটি ৮২৮ মিটার। যা ১৮৫০-৫৫ সালে রেলপথ হিসাবে ব্যবহৃত হতো। বলিনহ্যাসিগ গ্রামের অধীনে ৩০০ লোক দিয়ে খনন করা হয়েছিল সুড়ঙ্গটি। এটি বন্ধ হয়ে গেলেও অনুমতি নিয়ে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারেন।
Advertisement
স্যুটারেনে আন্ডারপাস: ২০১৫ সালে শ্রমিকরা কাউন্টি কর্কের কাহা পর্বতমালায় একটি ভূগর্ভস্থ আন্ডারপাস আবিষ্কার করেন। যা প্রায় ১ হাজার বছর আগে শক্ত পাথরের মধ্য দিয়ে খনন করা হয়েছিল। শ্রমিকরা একটি পর্যটন রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে এ ভূগর্ভস্থ পথ আবিষ্কার করেন।
পতিতালয় সুড়ঙ্গ: ইতিহাসবিদ গেরি কুলির মতে, আইরিশ রাজনীতিবিদরা উনিশ শতকে পতিতালয়গুলোতে প্রবেশের জন্য একটি সুড়ঙ্গ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। সুড়ঙ্গটি সেই সময়ের ডাবলিনের রাজনীতিবিদদের একটি অংশ ব্যবহার করতেন। এমনকি ১৮০০ সাল পর্যন্ত এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
লিস্টভার্স/সালমান/এসইউ/এএ/এমএস
Advertisement