এএফসি কাপ বাতিল না হলে এতদিনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের মালদ্বীপ যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেতো। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দ্বীপ দেশটিতে হওয়ার কথা ছিল ‘ই’ গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলো।
Advertisement
কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় কয়েকটি গ্রুপের খেলার ভেন্যুই ঠিক করতে পারেনি এএফসি। যে কারণে ২০২০ সালের এএফসি কাপ বাতিলই করে দেয় এশিয়ার ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি।
এএফসি কাপের খেলা বাতিল হলেও অক্টোবরেই বসুন্ধরা কিংস মালদ্বীপ সফরের পরিকল্পনা করছে। দেশটির যে দুটি দলের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ বাকি ছিল বসুন্ধরা কিংসের সেই টিসি স্পোর্টস এবং মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে তারা।
‘আমরা প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি হিসেবে দেশের বাইরে গিয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলব এবং সেটা মালদ্বীপে। মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস এবং মাজিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের খেলা ছিল। ওই দুটি দলের বিরুদ্ধেই আমরা ম্যাচ খেলব’- জানিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি মো. ইমরুল হাসান।
Advertisement
আগামী মৌসুমের জন্য বসুন্ধরা কিংস ইতোমধ্যে চার বিদেশি দলভূক্ত করেছে। আর্জেন্টিনার বার্কোস এবং ব্রাজিলের রবিনহো ও ফার্নান্দেজ এসে দলে সঙ্গে যোগও দিয়েছেন। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আসবেন ইরানি ডিফেন্ডার খালেদ শাফি।
ইমরুল হাসান জানিয়েছেন, তারা অক্টোবরের মাঝামাঝিতে মালদ্বীপ যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন যে তিন বিদেশি নিয়েছে ক্লাবটি, তাদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করা হয়েছে। আর্জেন্টিনার বার্কোসের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে ডিসেম্বরে, যখন ঘরোয়া ফুটবলে শুরু হবে।
মেসির সাবেক সতীর্থ এক ম্যাচ খেলেই মুগ্ধ করেছেন বাংলাদেশের দর্শকদের। গত ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। বার্কোস একাই করেছিলেন ৪ গোল।
তাহলে কি বার্কোসের খেলা আর দেখা যাবে না? অনেক দর্শকেরই এমন প্রশ্ন। ‘অবশ্যই দেখা যাবে। সে থাককে। আমরা তো তার খেলা দেখতেই পারলাম না। মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে। আমরা তাকে রেখে দেয়ার সব চেষ্টা করব’- বলছিলেন ইমরুল হাসান।
Advertisement
আরআই/এসএএস/এমকেএইচ