বঙ্গবন্ধুর হত্যা করে শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্ষমতার পট পরিবর্তন করা হয় নাই। স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করে পুনরায় পাকিস্তানের বানানোর পরিকল্পনায় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
Advertisement
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ম্যাকবেথ একটি ডায়ালগ আছে, “Will all Great Neptune's ocean wash this blood clean from my hand? No, rather my hand will make the green one red” অর্থাৎ পৃথিবীর সমস্ত সুগন্ধি দিয়েও হাতের রক্ত ধোয়া যাবে না বরং হাতের রক্তই সবুজসাগরকে লাল করে দেবে। তাই আমাদের আজ দেখতে হবে বঙ্গবন্ধুর পবিত্র রক্তে কার কার হাত রঞ্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ইতিহাস জানার জন্য যে কমিশনের দাবি উঠেছে তা বিচ্ছিন্ন কোনো দাবি নয়। কারণ ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যার সাত দিনের মধ্যে 'ওয়ারেন কমিশন' গঠন করা হয়েছিল। ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী হত্যা কান্ডের পরে যদিও বিচারে নাথুরাম গডসের ফাঁসি হলেও ষড়যন্ত্রকারীদের বের করতে জাস্টিস জীবন লাল কাপুরের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করা হয় যাকে বলা হয় 'কাপুর কমিশন'। পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ঘাতকের বুলেটে প্রাণ হারালে আদালতে বিচার সম্পন্ন হলেও জাস্টিস মনোহর লাল প্রাননাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করা হয় যাকে বলা হয় 'ঠাকুর কমিশন'। এমনকি রাজীব গান্ধী হত্যার পরও 'জৈন কমিশন' গঠন করে ভারত সরকার। যদিও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে কোন কমিশন গঠন না হলেও সেসময় যুক্তরাজ্যে একটি কমিশন গঠন করা হয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য স্যার টমাস উইলিয়াম কিউসি, সদস্য ছিলেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আয়ারল্যান্ডের সাবেক মন্ত্রী ও শান্তিতে নোবেলজয়ী শন ম্যাকব্রাইড, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য সদস্য জেফরি টমাস এবং সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন অব্রে রোজ এর মতো বিশ্ববিখ্যাত ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিবর্গ। ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কমিশন প্রথম বৈঠক বসে এবং ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে এসে অনুসন্ধানের জন্য ভিসার আবেদন করলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অনুমতি দেন নাই। ফলে কমিশন অনুসন্ধানে ব্যর্থ হলেও ১৯৮২ সালের ২০ মার্চ প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যাতে প্রতিবাদ করে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে আইনি বিচার প্রক্রিয়াকে তার নিজস্ব পথে এগুতে দেওয়া হয়নি এবং এর জন্য তৎকালীন সরকারই দায়ী। এই কমিশনের নাম ছিল 'শেখ মুজিব মার্ডার ইনকোয়ারি: প্রিলিমিনারি রিপোর্ট অব দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি' যা লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে কে কি ভূমিকা রেখেছে, পেছনের ষড়যন্ত্রকারী কারা, কুশীলব কারা এটি আজ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে জানা যায় তৎকালীন সামরিক উপপ্রধান জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ১৯৭৬ সালে বিলেতে আই টিভি চ্যানেলের ওয়ার্ল্ড ইন একশন প্রোগ্রামে সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কর্নেল ফারুক জানায়, ১৯৭৫ এর ২০ মার্চ সন্ধ্যা ৭.৩০ এর দিকে সে জেনারেল জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে বলে, "The country required a change. We have to have a change. We, the junior officers have already worked it out. We want your support and leadership." উত্তরে জিয়া বলেন, "If you want to do something, you junior officers should do it yourself." (অ্যান্থনি মাসকারেনহাস, Bangladesh a Legacy of Blood, page :54, Hodder and Stroughton, London 1986)। এই সাক্ষাতের সত্যতা সম্পর্কে ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন লন্ডন সফর করেন তখন অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জিয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, Zia did not deny it - nor did he confirm it! বিশিষ্ট মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ দি ডেইলি স্টারে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "Zia played perhaps the most crucial of all roles. He was the key 'Shadow Man'. He (Zia) assured Rashid that he would make certain that the forces in the Army would not move against him and his men if they succeeded." এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কর্নেল শাফায়াত জামিল যখন জিয়ার সাথে দেখা করতে যান তখন দেখেন জিয়াউর রহমান সেভ করছেন। তিনি জিয়াকে বলেন, "The President has been killed. Sir, what are your orders?" এবং উত্তরে জিয়া বলেন, "If the president is no longer there, then the vice president is there. Go to your headquarters and wait there." জিয়াউর রহমানের এই শীতল আচরণ ও সার্বিক অনুসন্ধানের পর লিফশুলজ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, The evidence increasingly points to the fact that Zia was one of the principal architect of the coup and played a much more significant role than Khondakar Mustaque Ahmed." (Lawrence Lifschultz. 'A long road in search of the truth' August 15,1975. Dhaka Tribune, 14 August 2018)।
Advertisement
সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন মাজেদ ফাঁসির রায় কার্যকর করার পূর্ব মূহুর্তে স্বীকারোক্তিতে জানান যে, জেনারেল জিয়া ১৫ আগস্ট সকাল ১০ থেকে ১১ টায় ক্যান্টনমেন্ট অডিটোরিয়ামে সেনাবাহিনীর সৈনিক ও অফিসারদের মোটিভেট করে বলেন, যেঘটনা গতরাতে ঘটে গেছে তোমরা সেসমস্ত নিয়ে কোনরকম মাথা ঘামাবেনা, এইটা জাতীয় ব্যাপার এটা আমাদের ব্যাপার না। এমনকি তিনি বঙ্গভবনে যেয়ে খুনীদের সাথে দেখা করতেন এবং খুনীরাও তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করত! এখান থেকেও প্রমাণিত হয় যে রহমান জড়িত ছিলেন।
ইতিহাসের নিমোঘ সত্য যে, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল জাসদ। জাসদের ভূমিকা সম্পর্কে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফশুলজ লিখেছেন, "মুজিব উৎখাতের কয়েক মাস আগে থেকে জাসদ এক গণ অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধের সাবেক সৈনিক সমবায়ে গঠিত বিপ্লবী গণবাহিনী ও কার্যরত সৈনিকদের গোপন সংগঠন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা; জাসদের এই দুই সশস্ত্র শাখা নিয়ে গোপন সামরিক অধিনায়ক তাহেরের নেতৃত্বে এই প্রস্তুতি চলছিল।" (অসমাপ্ত বিপ্লবী, লিফশুলজ, পৃষ্ঠা ১৯, বাংলা সংস্করণ)। বিশিষ্ট গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদের মতে, তাহের ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে সরাসরি অংশ নেন নি।
তবে ওইদিনই অভ্যুত্থানকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তাহের মেজর রশীদের অনুরোধে সকাল নটায় ঢাকা বেতারকেন্দ্রে যান। তার পরামর্শে ডালিমরা সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধানকে বেতার ভবনে নিয়ে আসেন অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষ্যে বিবৃতি দেওয়ার জন্য।দুদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নঈম জাহাঙ্গীর নারায়ণগঞ্জে তাহেরের বাসায় যান পরিস্থিতি আঁচ করতে। তাহের আক্ষেপ করে নঈমকে বললেন,‘ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবকে কবর দিতে এ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখনতো সেখানে মাজার হবে। উচিৎ ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলা দেওয়া।’ (জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি: মহিউদ্দিন আহমদ)।
মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফসুল্টজ, ‘বাংলাদেশ : দ্যা আনফিনিসড রেভ্যুলেশন’ বইয়ে প্রকাশ করেছেন, মার্কিন বিদেশ দপ্তরের অফিসাররা তাঁদের বলেছেন, যে চক্রটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে তাদের প্রতিনিধিগণ ১৯৭৪ সালের শরৎকালে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে এসে এ ব্যাপারে সাহায্য চায়। ঐ বিদেশ দপ্তরের সূত্র থেকেই জানা যায়, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সিআইয়ের স্টেশন চিফ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন পর্যন্ত চক্রান্তকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। ঐ সূত্রেই লিফসুল্টেজকে জানিয়েছে যে, মাহবুবুল আলম চাষী, তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, এবিএস সফদার ছিলেন তখন মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর মুখ্য এজেন্ট।
Advertisement
লরেন্স লিফসুল্টজ ও নিউইয়র্কের ‘দি নেশন’ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক কাই বার্ডের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন সমীক্ষা চালিয়ে তাঁরা এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছন যে, বঙ্গবন্ধু হত্যায় আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভারতীর সংবাদিক পরেশ সাহা'র 'মুজিব হত্যার তদন্ত' বইয়ে রয়েছে, ঢাকার সিআইএ স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরি বলেন, "ঘাতক চক্রের সঙ্গে সিআইএর যোগাযোগটা এত ভালো ছিল যে, অভ্যুত্থানের খবর পেয়ে তারা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে পেরেছিলেন। ফিলিপ স্বীকার করেন যে, তিনি যখন যুক্তরাষ্ট্রে খবর পাঠান, তখনও (ঢাকায়) অভ্যুত্থান চলছিল।" প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা থেকে পরেশ সাহা আরও লিখেছেন, শেখ মুজিবকে যেদিন হত্যা করা হয়, সেদিন রাতে মার্কিন দূতাবাস খুবই কর্মচঞ্চল ছিল। উচ্চপদস্থ অনেক অফিসারই সেদিন ঘুমোতে যাননি।
১৯৭৫-এর জুনে জুলফিকার আলী ভুট্টো কাকুলের পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে সেনা কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে বলেন, ‘এ অঞ্চলে শিগগিরই কিছু পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে।’ (জুলফি ভুট্টো অব পাকিস্তান, স্ট্যানলি উলপার্ট)। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আবদুল হক ১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ‘আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী’ সম্বোধন করে এক চিঠি লেখেন: "আমার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, পুতুল মুজিব চক্র এখন জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য অর্থ, অস্ত্র ও ওয়ারলেস সরঞ্জাম প্রদানের আবেদন জানাচ্ছি।" চিঠিটি পাওয়ার পর তিনি ‘অত্যন্ত জরুরি’ বলে মন্তব্য করেন এবং এই ‘সৎ লোকটি’কে (আবদুল হক) ‘কার্যকর সাহায্য দেওয়ার সুপারিশ করেন। ভুট্টোর আরেকজন এজেন্ট আবদুল মালেক বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা চালানোর উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান। সেখান থেকে ১৯৭৫ সালের ২২ জানুয়ারি ভুট্টোকে চিঠি লেখেন ‘আমার প্রিয় নেতা’ সম্বোধন করে। চিঠির জবাবে ভুট্টো ধর্মমন্ত্রী মাওলানা কায়সার নিয়াজীকে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে পাঠান।
উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট দেশের কূটনৈতিক, আর্থিক সাহায্য তথা অস্ত্রের জোগান নিশ্চিত করা(মুজিবকে শান্তিতে থাকতে দেননি ভুট্টো, সোহরাব হাসান, প্রথম আলো, ৯ আগস্ট,২০১৫)। স্ট্যানলি উলপার্টের বইয়ে আছে ‘দুই বছর যাবৎ ভুট্টো কয়েকটি মুজিববিরোধী দলকে তাঁর গোপন স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে অর্থসাহায্য অব্যাহত রাখেন এবং এর বিনিময়ে ফল লাভ করেছিলেন।’ ২০০০ সালে স্ট্যানলি উলপার্টের ঢাকা সফরের সময় লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক আবদুল মতিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘বিনিময়ে ফল লাভ বলতে আপনি কী বুঝিয়েছেন? মুজিব হত্যায় কি পাকিস্তান জড়িত ছিল?’ উলপার্টের উত্তর, ‘হ্যাঁ, আপনি তা বলতে পারেন।’ (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: কয়েকটি ঐতিহাসিক দলিল, র্যাডিকেল এশিয়া পাবলিকেশন্স, লন্ডন, ২০০৮)
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বাস্তব রূপদান। শুধু সামরিক বাহিনীর তরুণ বিশৃঙ্খলা সদস্যরাই নয় জড়িত ছিলেন ভেতর ও বাহিরের অনেক রাজনীতিবিদও। তাইতো বঙ্গবন্ধুর লাশ যখন পড়ে আছে ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে আর তাঁর মন্ত্রিসভার ২১ জন সদস্য যোগ দিয়েছিল খন্দকার খুনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায়! তাই ভিতর ও বাইরের মুখোশ উন্মোচনসহ আরও কিছু বিষয়ের জন্যও কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পঁচাত্তর-পরবর্তী জিয়া এরশাদ জারিকৃত সামরিক ফরমান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পাঠ্যবই ও সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে ৭৫ পরবর্তী প্রজন্মকে বিকৃত ইতিহাস শেখানো হয়েছে। তাই ইতিহাসকে তার সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে জাতির পিতাকে কারা হত্যা করেছে। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের সেই ব্যর্থতার কারণে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করার কলঙ্ক বাঙালি জাতির উপর রয়েছে। নতুন করে প্রমাণের সুযোগ এসেছে, কমিশন গঠন করে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে পাপমোচন এবং কলঙ্কমুক্ত করার।
লেখক : ব্যারিস্টার, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট।
এইচআর/জেআইএম