খাদ্যদ্রব্যের কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে না পারলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এম এম আকাশ। তিনি বলেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষিতে জোর দিতে হবে। কৃষক রক্ষা পেলে মানুষ বাঁচবে।
Advertisement
মহামারি করোনার প্রভাব এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এই অর্থনীতিবিদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতার যে প্রবাহ, তা অব্যাহত রাখতে হবে। সাধারণ মানুষের হাতে নগদ টাকা দিতে হবে। নগদ টাকা না থাকলে গরিব মানুষেরা না খেয়ে মারা যাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে না পারলে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।’
এম এম আকাশ বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে মন্দা দেখা দেবেই। জিডিপি টার্গেট অর্ধেকে নেমে আসছে। চাকরি থাকবে না অনেকের। দিন আনে দিন খায় গোছের মানুষেরা সবচেয়ে বিপদে পড়বে। ইতোধ্যে তারা বিপদে। সিন্ডিকেট হচ্ছে। সরবরাহ কম দেখিয়ে মুনাফা বাড়ানো হবে। এটিই কৃত্রিম সংকট। এই সংকট দূর করতে না পারলে বড় বিপদ দেখা দেবে। উন্নয়ন আর বড় বড় বাজেট মানুষকে বাঁচাতে পারবে না।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন ভালো হয়েছে এবার। কিন্তু অধিক বৃষ্টি বর্ষাকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজের বাজার বেসামাল। করোনার এই পরিস্থিতিতে বাজার একবার ভেঙে গেলে তা সামলানো মুশকিল হবে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। রাষ্ট্র ব্যবসা করবে না, রাষ্ট্র বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু এখানে কোনো বিধান কাজ করে না। মুনাফাই মুখ্য। করোনার মধ্যে এই ভয় তীব্র হয়েছে। ত্রাণের জন্য আমরা হাহাকার দেখছি। গরিব, মধ্যবিত্তরা মহাবিপদে পড়ছে। অথচ এই মানুষগুলোই অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখে।’
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সরকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তা বণ্টনে সমতা আনতে হবে। কৃত্রিম সংকট দূর করতে হবে। মজুতের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষকের হাতে অর্থের যোগান রাখতে হবে। কৃষি পণ্য বিক্রির নিশ্চিয়তা দিতে হবে। তবেই আমরা করোনা মহামারি মোকাবিলার পাশাপাশি দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করতে পারব৷’
এএসএস/এমএসএইচ
Advertisement