ভারতে করোনা সংক্রমণ ৫৩ লাখ পার হয়ে গেছে। তবে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হারও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুসারে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ লাখ ৮ হাজার ১৪। অপরদিকে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মোট ৮৫ হাজার ৬১৯ জনের।
Advertisement
ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪২ লাখ ৮ হাজার ৪৩১ জন। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ১৩ হাজার ৯৬৪। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণ বাড়লেও আশার কথা এটাই যে সেখানে করোনাজয়ীর সংখ্যা অ্যাক্টিভ রোগীর চার গুণেরও বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৩ হাজার ৩৩৭ জন। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৪৭ জনের। অপরদিকে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৫ হাজার ৮৮১ জন।
অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেশি। দেশটিতে গড়ে সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। অপরদিকে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। দৈনিক সুস্থতার সংখ্যায় আজ রেকর্ড হয়েছে ভারতে।
Advertisement
ভারতের কোভিড সংক্রমণে এখন পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ পেরিয়ে গেছে। মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৩৫১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮ লাখ ১২ হাজার ৩৫৪ জন। মহারাষ্ট্রে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ২ হাজার ১৩৫।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। ওই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ১ হাজার ৪৬২। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ১৭৭ জনের। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৮৮ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে অ্যাক্টিভ কেস ৮৮ হাজার ১৯৭।
তৃতীয় থাকা তামিলনাড়ুতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪২০। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৬১৮ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ১৯২ জন। তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬১০।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে কর্নাটক। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৩৫৬ জন। এখন পর্যন্ত কর্নাটকে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৬২৯ জনের। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭ জন। কর্নাটকে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেস ১ লাখ ৩ হাজার ৬৫০।
Advertisement
এদিকে উত্তরপ্রদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২৯৪। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭৭১ জনের। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৮ জন। উত্তরপ্রদেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ২৩৫।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭০১। কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮৭৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ১০৩ জন। দিল্লিতে অ্যাক্টিভ কেস ৩১ হাজার ৭২১।
টিটিএন/জেআইএম