গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা অর্ধদিবস হরতালে মঙ্গলবার বরিশালের জনজীবনে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। দূরপাল্লার বাস এবং অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে অবস্থান নেন মঞ্চের কর্মী সমর্থকরা।সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বরিশাল গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে পিকেটিংয়ের চেষ্টা করে কিছু কর্মী। তারা কিছু যানবাহন চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করলেও পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা সদর রোডে অবস্থান নিয়ে হরতালের সমর্থনে সমাবেশ করে।সমাবেশে জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পুষ্প চক্রবর্তী বলেন, দেশ এখন সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভট উটের পিঠে করে চলছে। যা আমাদের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার কথা মনে করিয়ে দেয়। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন বটে, তাহলে কেন প্রগতিশীল লেখকদের নির্মমভাবে হত্যা করা মৌলবাদী চক্রকে গ্রেফতারে গড়িমসি করছেন ? তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এমন অবস্থায় দেশের কেউ এই গুপ্ত ঘাতকদের হাতে নিরাপদ নয়।এর প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আজাদ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক নিগার সুলতানা হনুফা, ছাত্রইউনিয়ন সভাপতি শারমিন জাহান পপি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জেলা সভাপতি ডা. মনিষা চক্রবর্তীসহ অন্যরা। সাইফ আমীন/জেডএ্ইচ/এমএস
Advertisement