শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলো ভ্রমণে বাংলাদেশিদের ভিসা অনুমোদনের হার চার বছরে বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। ২০১৫ সালে যেখানে বাংলাদেশি আবেদনকারীদের শেনজেন ভিসা অনুমোদনের হার ছিল ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৫ শতাংশে। একইসঙ্গে, প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে বাংলাদেশি আবেদনকারীর সংখ্যাও। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শেনজেন ভিসার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ সালে ১৬ হাজার ২৮৯ বাংলাদেশি আবেদনকারীর মধ্যে ভিসা পেয়েছিলেন ৩ হাজার ৩২৩ জন (২০ দশমিক ৪ শতাংশ), ২০১৬ সালে ১৭ হাজার ২৬৫ জনের মধ্যে ভিসা পান ৬ হাজার ৪১৫ জন (৩৭ দশমিক ২ শতাংশ), ২০১৭ সালে ১৯ হাজার ৬৫২ জন আবেদনকারীর মধ্যে অনুমোদন পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৫১১ জন (৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ), ২০১৮ সালে ১৯ হাজার ৯৯৭ জনের মধ্যে ভিসা পান (৯ হাজার ১৩৩ জন (৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ) এবং ২০১৯ সালে আবেদন করেছিলেন ২২ হাজার ৯০৩ জন, যার মধ্যে ভিসা পেয়েছেন ১২ হাজার ২৩ জন।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেনজেন অঞ্চল ভ্রমণের বিশ্বাসযোগ্য কারণ উপস্থাপনের অভাব, জীবিকা নির্বাহে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব, আবেদনকারী অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড, ভ্রমণ বীমার নথি না থাকা, ভ্রমণের টিকিট এবং বাসস্থানের তথ্যপ্রমাণ না দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
বাংলাদেশে শেনজেন অঞ্চলের সবগুলো দেশের দূতাবাস নেই। গত বছর ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাস বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন গ্রহণ করেছে। শেনজেন অঞ্চলের বাকি যে ১৮ দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট বাংলাদেশে নেই সেগুলো ভ্রমণের জন্যেও ভিসা আবেদন গ্রহণ ও কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব সামলেছে এই আটটি দূতাবাসই।
কেএএ/এমএস
Advertisement