নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে রত্না রানী শীল (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত রত্না জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী পৌরসভার কলেজ রোডস্থ পোড়া বাড়ি এলাকার কৃষ্ণ চন্দ্র শীলের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে রত্নার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। নিহত রত্না রানী শীল কুমিল্লার মনহরগঞ্জের বাউপুরের অমুল্য চন্দ্র শীলের বড় মেয়ে।নিহতের বাবা অমুল্য চন্দ্র শীল জাগো নিউজকে অভিযোগ করে জানান, প্রায় দেড় বছর আগে তার বড় মেয়ে রত্নার বিয়ে দেন নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজারের হোমিও চিকিৎসক অমল চন্দ্র শীলের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র শীলের সঙ্গে। বিয়ের সময় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও কয়েক লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কথা ও দোকান নেয়ার নাম করে তার কাছ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা নেন। এর পরও আরও যৌতুকের দাবিতে তার মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন কৃষ্ণ চন্দ্র শীল। প্রায়ই রাতে কৃষ্ণ মাদকাসক্ত হয়ে এসে তার মেয়ের উপর পাশবিক নির্যাতন চালাতেন। মেয়ে সব নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করে আসছে। আমাদেরকে বিষয়টি জানালে আমরা বলতাম হিন্দু শাস্ত্রে মেয়েদের বিয়ে একবার হয়। আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার ভোরে রত্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী। রত্না অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে এলাকার অন্য লোকদের মোবাইল থেকে আমাদের ফোন দেয়া হয়। আমরা সকালে এসে দেখি ঘরের মধ্যে রত্নার মরদেহ পড়ে আছে। বিষয়টি থানা পুলিশে জানানো হয়। তিনি তার মেয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি করেন। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত কৃষ্ণ চন্দ্র শীলের ভাগিনা সুব্রত চন্দ্র শীলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদরে জন্য আটক করেছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও চৌমুহনী টাউন দারোগা (টিএসআই) ইকবাল বাহার চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কৃষ্ণ চন্দ্র শীল ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। এ ব্যপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।মিজানুর রহমান/এমজেড/পিআর
Advertisement