গত কয়েক সপ্তাহে ইউরোপীয় দেশগুলোতে আবারও ভয়াবহ আকারে বেড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এটিকে ওই অঞ্চলে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগাম সংকেত উল্লেখ করে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুজ বলেছেন, ইউরোপে গত মার্চে মহামারি যখন প্রথমবার চূড়ায় উঠেছিল, বর্তমানে সাপ্তাহিক সংক্রমণের ঘটনা সেই সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। গত সপ্তাহে অঞ্চলটিতে সাপ্তাহিক রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ইউরোপের অর্ধেকের বেশি দেশেই গত দুই সপ্তাহে ১০ শতাংশ নতুন রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সাতটি দেশে নতুন সংক্রমণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কর্মকর্তা বলেন, গত বসন্তে ও গ্রীষ্মের শুরুতে আমরা কড়া লকডাউনের প্রভাব দেখতে পেয়েছিলাম। আমাদের চেষ্টা, আমাদের ত্যাগের দাম পেয়েছিলাম। জুনে সংক্রমণ ছিল যেকোনও সময়ের চেয়ে কম। কিন্তু সেপ্টেম্বরে সংক্রমণের সংখ্যা দেখে আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত।
Advertisement
ক্লুজ জানান, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপে ৫০ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। তবে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে এখনও বেশিরভাগই ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী যুবক।
গত ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর কিছুদিন পরেই এর দ্বিতীয় হটস্পট হয়ে উঠেছিল ইউরোপ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় মাস দুয়েক আগে অঞ্চলটির বেশিরভাগ দেশই লকডাউন তুলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহে আবারও আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বিধিনিষেধ ফিরিয়ে এনেছে বেশ কয়েকটি দেশ। হ্যান্স ক্লুজ বলেন, এই মহামারি আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। ইউরোপে করোনায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং ২ লাখ ২৬ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে। এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এটা শুধু গল্পের একটা অংশ মাত্র। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, জীবিকা ও সমাজের ওপর এর প্রভাব স্মরণীয়।
সূত্র: সিএনএনকেএএ/
Advertisement