ইংল্যান্ডে নতুন করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ১৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ফলে বিশ লাখ মানুষের জন্য নতুন করে আরোপ হয়েছে বিধিনিষেধ। বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (এনএইচএস) টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস স্কিমের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
Advertisement
করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা এবং ফল পেতে বিলম্ব হওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। এনএইচএস-এর টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস স্কিম জানাচ্ছে, বিগত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে ব্যক্তি হিসেবে দৈনিক করোনার নমুনা পরীক্ষার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে।
এ ছাড়া বাড়িতে গিয়ে নমুন সংগ্রহ করে পরীক্ষার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি ওই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এনএইচএস আরও জানিয়েছে, জুলাইয়ের শুরু থেকে করোনা পজিটিভ মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই এবং মে মাসে টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস সিস্টেপ চালুর পর সেই সংখ্যা এখন হয়েছে দ্বিগুণ।
আক্রান্ত বৃদ্ধির কারণে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের বিশ লাখ মানুষের জন্য নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। এই অঞ্চলে এক পরিবারের আরেক পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না এবং পাবগুলো পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার তিনি এর ঘোষণা দেন।
Advertisement
উদ্বেগজন সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিধিনিষেধ সাময়িক। তা জারি থাকবে কিনা এটা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। নতুন করে বিধিনিষেধের আওতাভূক্ত এলাকাগুলো হলে নিউক্যাসেল, সান্দারল্যান্ড, সাউথ টিনেসাইড এবং গেটশেড।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশটির পার্লামেন্টে বলেন, আমাদের হাতে এসব তথ্য আসার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। সান্দারল্যান্ডে এখন লাখপ্রতি সংক্রমণের হার ১০৩ জন। এ ছাড়া নিউক্যাসেল, সাউথ টিনেসাইড এবং গেটশেড এলাকার সবগুলোতেই সংক্রমণের এই হার ৭০ এর বেশি।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement