পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘নানা কারণে অনেকে মনে করেন, আমাদের সরকার পুরোটা আধুনিক সরকার নয়। পৃথিবীর কোনো সরকারই সমাজ থেকে বেশি আধুনিক হয় না। একটু পেছনে থাকে। তবে করোনার সময় গত ছয় মাসে আমার অবশ্যই করণীয় কাজ, যেমন মন্ত্রিসভা বৈঠক বা একনেক মিস করিনি।’
Advertisement
‘আমরা সবাইকে নিয়ে সভা করতে পেরেছি। অত্যন্ত কার্যকর সভা করেছি। আজ যেভাবে (অনলাইনে জুম মিটিং) করছেন এটা। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সরকার আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিল এবং কাজও করেছে। করোনায় যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল আমাদের স্বাস্থ্যখাত। সেটাকে টেনে তুলেছেন আমাদের সরকারপ্রধান। তিনি ঢাকায় বসে উপজেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত অন্তর্ভুক্তি করলেন ডিজিটালি। এখানে বসে ফেস টু ফেস দেখে তিনি সমন্বয় করলেন, নির্দেশনা দিলেন। তার এই তুলে নিয়ে আসা কীভাবে সম্ভব হলো? তার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তির কারণে’, যোগ করেন মন্ত্রী।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘বিবিএফ এসএমই ডিজিটাল সামিট-২০২০’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এই সম্মেলনটি আয়োজন করেছে বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)।
এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে সারাবিশ্বেই এবং আমাদের এখানে তো অবশ্যই ইন্টারনেট শিফট হচ্ছে। অর্থনৈতিক জীবনের, অর্থনৈতিক সংস্কৃতির, অর্থনৈতিক চিন্তার ক্ষেত্রে একটা শিফট হয়ে যাচ্ছে। করোনা এটাকে আরও জোরালো করেছে। চিন্তা করে দেখেন যে ইন্ডাস্ট্রি, বড় বড় শেড হবে, হাজার হাজার মানুষ কাজ করবে, সেই সময় আমরা পার হয়ে এসেছি ইতোমধ্যে। এই যে বড় বড় জিনিস আমরা জাপান থেকে কিনি, ব্যবহার করি, অবাক হয়ে তাকাই যে, কীভাবে বানাল? ওগুলো নাকি ছোট ছোট পরিবার সারাদেশে বানায় বিভিন্ন অংশ। তারপর প্রযুক্তির মাধ্যমে সমন্বয় করে। তারা চিন্তাই পরিবর্তন করে দিয়েছে।’
Advertisement
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আরএফ হোসেন, বেসিসের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান, এসবিকে টেক ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, আইআইবিএমের নির্বাহী পরিচালক বোরহান উদ্দিন, বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) চেয়ারম্যান ও সিইও অধ্যাপক মাসুদ এ খানসহ অনেকে।
পিডি/বিএ