বয়স বেড়ে গেছে, আর জাতীয় দলে খেলানো যাবে না। সমালোচকরা সুযোগ পেলেই এমন কথা বলতে পিছপা হন না। মোহাম্মদ হাফিজ সেইসব সমালোচকদের মুখে যেন চপেটাঘাত করলেন, ৩৯ বছরেও দেখিয়ে দিলেন-বয়সটা কেবল একটা সংখ্যা মাত্র।
Advertisement
যে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে করোনা টেস্টসহ নানা কারণে হাফিজকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের ত্রাণকর্তা ছিলেন এই ক্রিকেটারই।
সিরিজে দুই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন ‘বুড়িয়ে যাওয়া’ এই অলরাউন্ডার। দুটো হাফসেঞ্চুরিসহ করেন ১৫৫ রান, সেটাও আবার ১৭৬.১৩ স্ট্রাইকরেটে!
যদিও পাকিস্তান সিরিজ জিততে পারেননি। কিন্তু টেস্ট সিরিজে হার এবং বৃষ্টির কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর তারা সফরটা ১-১ সমতায় শেষ করতে পেরেছে হাফিজের ব্যাটিং দ্যুতিতে ভর করেই।
Advertisement
বর্ষীয়ান এই ব্যাটসম্যানের এমন পারফরম্যান্স দেখে গলা উঁচু করে কথা বলতে পারছেন কামরান আকমলও। ৩৮ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান পাকিস্তান জাতীয় দলে বারবার উপেক্ষিত হয়েছেন। এবার হাফিজকে দেখে সবার শিক্ষা হয়েছে মনে করছেন তিনি।
‘পাকপ্যাশন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কামরান আকমল বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার জন্য কতটা সংগ্রাম করে সেটি না দেখেই অনেককে বলতে শুনি, সে বাতিল হয়ে গেছে। মানুষের জন্য যেন এটা বলা খুবই সহজ কাজ যে এই ক্রিকেটার শেষ, তার বদলে অন্য কাউকে নিতে হবে।’
শুধু সাধারণ মানুষ নন, সাবেক ক্রিকেটাররাও অনেক সময় যা-তা বলে থাকেন। হাফিজকে নিয়েও বলেছেন। তাদের সবার একটা শিক্ষা হয়েছে বলেই মনে করেন কামরান আকমল।
পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ভাষায়, ‘সাবেক ক্রিকেটারসহ অনেকেই আছেন যারা হাফিজের স্থলাভিষিক্ত খুঁজতে বলেছিলেন। এমন সময়ে তিনি পারফর্ম করে পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতালেন। ফলে তাদের (সমালোচকদের) আর দাঁড়ানোর জায়গা রইল না। আশা করি, এখন তাদের শিক্ষা হয়েছে।’
Advertisement
এমএমআর/জেআইএম