দুর্বৃত্তদের জোড়া হামলায় এক প্রকাশক ও দুই ব্লগার আহত এবং অভিজিতের বইয়ের প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যার প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) সারাদেশে অর্ধদিবস হরতাল পালন করবে গণজাগরণ মঞ্চ।রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগস্থ কেন্দ্রীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরার এইচ সরকার।সমাবেশ ইমরান বলেন, ‘একের পর এক হত্যা হচ্ছে। আমরা বিচার চাচ্ছি, ঘরে ফিরে যাচ্ছি। সরকার একই রেকর্ড করা গান বাজাচ্ছে। ব্লগার, বিজ্ঞানীর পর এখন প্রকাশকদের হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর বিবৃতিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তাদের এ হত্যাকাণ্ড নির্দিষ্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। যারা একটা ধর্মীয় উগ্রবাদীকে বিশ্বাস করে না, যারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন, যারা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করেন, সাম্য ও বৈষম্যমুক্ত সমাজে বিশ্বাস করেন সে সকল মানুষকে তাদের টার্গেট করছে। আপনি কোন রাজনৈতিক দল করেন সেটা দেখার বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে আপনি তাদের সঙ্গে একমত নন। বিশ্বব্যাপি ইসলামিক স্টেটের নামে যে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তার সঙ্গে একমত না হলে আপনাকে হত্যা করা হবে।’তিনি বলেন, ‘জনগণ এই সরকারকে ক্ষমতায় আসীন করেছে এই বলে যে, আপনারা জঙ্গিবাদ মৌলবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। এই রাষ্ট্রকে জঙ্গিাবদের হাত থেকে মোকাবেলা করবেন। অথচ আজকে তারা একের পর এক জঙ্গিদের প্রশ্রয় দিয়ে যেখানে নিয়ে যাচ্ছেন, যদি কোনো ধরনের ব্যর্থতার মুখোমুখি হয় তাহলে এদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে। কারণ এরাই এর জন্য দায়ী থাকবে। তাদেরকে মৌলবাদী জঙ্গিদের পাহারা দেয়ার জন্য ক্ষমতায় পাঠাইনি। মৌলবাদীর হাত থেকে এদেশর ১৬ কোটি মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য পাঠিয়েছিলাম। তারা বক্তব্য বিবৃতি দিতে এমন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে যাতে আজকে অফিসে, ঘরে ঢুকে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে।’এসময় খুশি কবির বলেন, ‘এই প্রযুক্তির যুগে প্রকাশকের দরকার নেই। প্রযুক্তির মাধ্যমে বই আরো বাড়বে, মানুষকে এসব আরো জানাব। তাই হত্যা করে ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে রাখতে পারবে না।’ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, ‘দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ নেই। তাহলে এগুলো কারা ঘটায়?সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন উদীচীর সহ-সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহীন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।এমএইচ/বিএ
Advertisement