মাথাব্যথার অভিজ্ঞতা আমাদের সবার আছে। আমরা প্রত্যেকেই জানি এটি কতটা বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক। কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই মাথাব্যথা অনুভব করতে পারেন, এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার পরেও মাথব্যথা দেখা দিতে পারে।
Advertisement
ঘুমের অভাব, উচ্চ শব্দ এবং স্ট্রেস মাথাব্যথার কিছু সাধারণ কারণ। তবে আরও একটি সাধারণ বিষয় রয়েছে যা আমরা বেশিরভাগ সময়েই বুঝতে পারি না। আর তা হলো আমাদের খাবার।
কিছু খাবার মাথাব্যথার কারণ এবং সেসব থেকে দূরে থাকলে মাথাব্যথা থেকেও দূরে থাকা সম্ভব। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এমনকিছু খাবারের তালিকা।
অ্যালকোহলওয়াইন এবং অন্যান্য অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় তাজা রাখার জন্য সালফাইটস যুক্ত করা হয়, যা মাইগ্রেনের জন্য দায়ী। এমনকী পানীয়তে সালফাইট না থাকলেও অ্যালকোহলের ফলে সৃষ্ট ডিহাইড্রেশন তীব্র মাথাব্যথা ছড়াতে পারে।
Advertisement
সোডা এবং কোলাকৃত্রিম সুইটেনার মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে সবার মাথাব্যথা না-ও হতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই সোডা বা কোলা খাওয়ার পরে এই সমস্যা দেখা দেয়।
প্রসেসড মাংসহট ডগ এবং বেকনের মতো প্রসেসড মাংস সবসময় সতেজ থাকে। এটি কেন হয়? কারণ খাবার প্রস্তুতকারীরা এগুলো সংরক্ষণের জন্য নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট ব্যবহার করে। এই যৌগগুলি রক্তনালী বিচ্ছিন্ন করতে পারে এবং ফলস্বরূপ মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। এই মাংসগুলোও প্রচুর পরিমাণে লবণযুক্ত, যা ডিহাইড্রেশন এবং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
সয়া সসসয়া সসে সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। যা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। হালকা ডিহাইড্রেশনও কিন্তু মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কলাকলার পুষ্টিগুণ নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। এটি উপকারী একটি ফল। স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে অন্যতম এই ফল। তবে এই কলাও কখনো কখনো মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
Advertisement
পনিরপুরোনো পনিরে টায়রামাইন থাকে যা রক্তনালীগুলিকে সীমাবদ্ধ করে এবং প্রসারিত করে তীব্র মাথাব্যথার দিকে পরিচালিত করে। তাই পনির বা চিজ পরিমাণমতো খান। বেশিদিন জমিয়ে রাখবেন না যেন।
গামঘনঘন চুইংগাম চিবুনোর অভ্যাস থাকলে সেটি আপনার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। একটি গবেষণা অনুসারে, মাথা বা ঘাড়ে দীর্ঘায়িত পেশী সংকোচনের কারণে মাথাব্যথা বাড়তে পারে।
এখানে প্রকাশিত সব খাবারই যে আপনার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে, তা কিন্তু নিয়। তাই কোন খাবার আপনার শরীরের জন্য ভালো, কোনটি অসুখ ডেকে আনতে পারে তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নিন।
এইচএন/এএ/পিআর