বিনোদন

ভোরের ট্রেনে সুবর্ণা মুস্তাফা ও তাসনিয়া ফারিন

ভিন্ন দুটি সময়ের প্রতিনিধি তারা। দুই প্রজন্মের দুই অভিনেত্রী। একজন নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। অন্যজন নতুন প্রজন্মের আলোচিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। একসঙ্গে তারা কাজ করলেন সম্প্রতি একটি টেলিছবিতে।

Advertisement

মাসুম শাহরিয়ারের রচনায় এ টেলিফিল্মের নাম ‘ভোরের ট্রেন’। এটি পরিচালনা করেছেন সাইদুর রহমান রাসেল। চ্যানেল আইতে টেলিছবিটি প্রচার হবে ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে।

পরিচালক জানিয়েছেন এখানে মা-মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুবর্ণা ও ফারিন। তাদের সঙ্গে আরও দেখা যাবে খায়রুল আলম সবুজ, নাফিসা চৌধুরী নাফা, মহসিন আলম, রিনা রহমান, আহসান হাবিব নাসিম প্রমুখকে।

গল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, টেলিছিবিটিতে নদীর ধারে একটি মফস্বল শহরের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে তিন ভাইয়ের যৌথ পরিবার। তিন ভাইয়ের স্ত্রী ছেলেমেয়ে নিয়ে আটজন এবং দুজন কাজের সহকারী। বড় ভাই আমজাদ সাহেব বাড়ির প্রধান। বাড়ির সবাই তাকে ভয় পায়। ছোট ভাই আদনান দু’বছর হয় বিয়ে করেছে তার স্ত্রী রূপা কনসিভ করেছ। রূপার বয়স আঠারো উনিশ।

Advertisement

আর এই পরিবারের মেজো ভাই আলাফ বছর পাঁচ আগে হঠাৎ করে মারা যায়। আলাফের স্ত্রী শাহনা এবং মেয়ে জয়া এ বাড়িতেই থাকে। জয়া এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা যেদিন শেষ হয় তার পরদিনই কোনো এক পাত্রপক্ষ জয়াকে দেখতে আসে। জয়া বাধ্য হয়ে সেজেগুজে পাত্রপক্ষের সামনে গিয়ে বসে।

আমজাদ সাহেবের কথার উপর এ বাড়ির কেউ কথা বলে না। জয়া তার মার কাছে কান্নাকাটি করে। শাহনা তার ভাসুরকে ভয়ে ভয়ে বলে, এখন বিয়ে কি দরকার? আমজাদ সাহেব ধমক দেন। আমজাদ সাহেব বলেন পাত্র পছন্দ না হলে বলো আমি আরো পাত্র সন্ধান করব। কিন্তু এ বাড়ির মেয়েদের এই বয়সেই বিয়ে হবে।

শাহনা কী পারবেন সেই বয়সকে জয় করে নিজের মেয়ের জন্য একটা স্বাধীন জীবন উপহার দিতে। সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ‘ভোরের ট্রেন’-এ।

এলএ/জেআইএম

Advertisement