ফিক্সিংয়ের কারণে পাওয়া দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে মাঠে ফিরতে মুক্ত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের ডানহাতি পেসার শ্রীশান্ত। নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগে থেকেই মাঠের ক্রিকেটে ফেরার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিলেন ৩৭ বসন্ত কাটানো এ পেসার।
Advertisement
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতের ঘরোয়া মৌসুম বাতিল করা হলেও, আশাহত হননি শ্রীশান্ত। বরং স্বপ্ন দেখছেন, জাতীয় দলে না হলেও, অন্তত আইপিএলসহ অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ফেরার। এ বিষয়ে তাকে এক সুখবরই দিয়েছে কেরালা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেসিএ)।
তার নিজ প্রদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির ক্রিকেট দলের কোচ টিনু ইয়োহান্নান জানিয়েছেন, ফিটনেস এবং ফর্মের প্রমাণ দিতে পারলে এখনও কেরালা দলের দরজা খোলাই রয়েছে শ্রীশান্তের জন্য। যা হয়তো শ্রীশান্তের মাঠে ফেরার চেষ্টাটা আরও বাড়িয়ে দেবে।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো কেরালা কোচ বলেছেন, ‘কঠোর অনুশীলন এবং নিজেকে ফিট রাখার মাধ্যমে ক্রিকেটে ফেরার গভীর আকুতিটা স্পষ্ট করেছে শ্রীশান্ত। আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। তাকে আমরা বিবেচনায় রাখব, এক্ষেত্রে তার ফর্ম এবং ফিটনেস সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে। তবে দরজা খোলাই আছে।’
Advertisement
সবশেষ ২০১৩ সালের মে মাসে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছিলেন শ্রীশান্ত। সে বছরের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিলো তার শেষ ম্যাচ। ভারতের হয়ে সবশেষ ২০১১ সালের ইংল্যান্ড সফরে মাঠে নেমেছিলেন ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি ও ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী এ পেসার।
এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নিজের মনে শান্তি অনুভব করছেন পাগলাটে স্বভাবের এই পেসার। ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে শ্রীশান্ত বলেছেন, ‘আমি স্বাধীনতা পেয়েছি, আবার মাঠে নামার স্বাধীনরা পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় শান্তির বিষয়। আমি জানি না, অন্য কেউ বুঝতে পারবে কি না এটা আমার জন্য কত বড় বিষয়।’
তিন আরও যোগ করেন, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমি আবার খেলতে পারব। কিন্তু এখন দেশে খেলার মতো সুযোগ নেই। কোচিতে আমি একটি স্থানীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলাম, যাতে করে মাঠে ফিরতে পারি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখন সেটিও সম্ভব নয়।’
মাঝে একসময় খেলা ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবলেও, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। শ্রীশান্তের ভাষায়, ‘মাঠে ফেরার জন্য গত মে মাস থেকে আমি আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি। কিন্তু যখন খবরে পড়লাম, এ মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেট হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তখন মুষড়ে পড়েছিলাম। খেলা ছেড়ে দেয়ার কথাও ভেবেছিলাম। তবে এরপরই মনে পড়ল আবার মাঠে ফেরার জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি।’
Advertisement
এসএএস/জেআইএম