দেশজুড়ে

বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল ১২ মেট্রিক টন ইলিশ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এক হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে প্রথম চালান হিসেবে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি করা হয়।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার ভারত সরকারকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ইলিশ মাছ দিয়েছে। গত বছরও শারদীয় দুর্গাপূজার সময় দেয়া হয়েছিল ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ। পদ্মার ইলিশ পেয়ে ওপারের অনেকে খুশি। পশ্চিমবঙ্গজুড়ে আগামী ২৩ অক্টোবর শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।

বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য কোয়ারেন্টাইন পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১০ সেপ্টেম্বর এক হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এসব ইলিশ রফতানির অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০ থেকে ১৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার প্রথম চালান ১২ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি মাছও রফতানি হবে।

বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ‘নিলা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি রুবাইত বলেন, এবার প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ১০ দশমিক ৬ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৮৫৫ টাকা। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করা হবে। প্রথম চালানের দুই ট্রাকে ৬০০ বক্সে ১২ মেট্রিক টন ইলিশের রফতানি মূল্য এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ইলিশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার জাহানাবাদ সি ফুড লিমিটেড আর ভারতের আমদানিকারক কলকাতার জেকে ইন্টারন্যাশনাল।

Advertisement

পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কাছে প্রিয় হলেও দেশের চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন সময় তা রফতানি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ সরকার। ২০১২ সালের আগে ভারতে ইলিশ রফতানি করা হতো। ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পর ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় সরকার। গত বছরও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে আবারও বন্ধ থাকে ইলিশ রফতানি।

জামাল হোসেন/আরএআর/এমএস