শিগগিরই দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে। দলের ভেতরে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, দলের মধ্যে এমন আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা নেই।
Advertisement
বিএনপির স্থায়ী কমিটির নতুন মুখের আলোচনায় থাকা নেতাদের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য দলের নেতাকর্মীদের কাছে বরাবরই একটি আকর্ষণীয় ও মর্যাদাপূর্ণ পদ। আজীবন বিএনপির রাজনীতি করা, বিশেষ করে পোড় খাওয়া নেতাদের টার্গেট থাকে শেষ জীবনে হলেও স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে এ ফোরামে সাংগঠনিকভাবে যোগ্য, পরীক্ষিত,ত্যাগী ও দলে তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদেরই স্থান হয়। তাই প্রায় সব জ্যেষ্ঠ নেতার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ লাভ।
এ কমিটি নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা, কর্মসূচি প্রণয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজগুলো করে থাকে। স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকেই বেশিরভাগ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে পাঁচটি শূন্যপদে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর দলের যে স্থায়ী কমিটি করা হয় তাতে দুটি পদ খালি রাখা হয়। পরবর্তীতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ এবং এম কে আনোয়ার মারা যাওয়ায় পাঁচটি পদ শূন্য হয়।
গেল বছর জুনে স্থায়ী কমিটিতে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আরও তিনটি পদ ফাঁকা থেকে যায়। এদিকে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান দলীয় কর্মকাণ্ডে কার্যত নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। প্রবীণ নেতা ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারও শারীরিকভাবে ততটা ফিট নন। অসুস্থতার কারণে এই তিনজনের মধ্যে দুজনের বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনটি পদ ফাঁকা এবং আরও দুজন বাদ পড়লে পাঁচটি পদ শূন্য হবে। এখানে নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা বেশি।
Advertisement
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্য হওয়ার তালিকায় এরই মধ্যে আলোচনায় আছেন বেশ কয়েকজন। তারা হলেন- ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, বীর উত্তম; মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং মোহাম্মদ শাহজাহান।
এছাড়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনও আলোচনায় আছেন।
শিগগিরই দলের স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ হবে কি-না এবং এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শূন্যপদ তো নিশ্চয়ই পূরণ হবে। তবে কবে হবে, সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এটা নিয়ে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি।
স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও জানান, এ নিয়ে তাদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি।
Advertisement
কেএইচ/এমএআর/জেআইএম