যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইয়েমেনে নতুন করে আতঙ্ক হয়ে ধরা দিয়েছে করোনাভাইরাস। এমনিতেই যুদ্ধ আর সংঘাতে দেশটির জনজীবন বিপর্যস্ত তার মধ্যে করোনা যেন ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। প্রতিনিয়ত সেখানকার মানুষের দিন কাটছে ভয় আর আতঙ্কে।
Advertisement
এই মহামারি পরিস্থিতিতে ইয়েমেনের এডেন শহরে একটি মাত্র হাসপাতালের কার্যক্রম চালু ছিল। অথচ সেখানে প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। ওই একটি হাসপাতাল দিয়েই এতদিন চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল।
কিন্তু করোনা এসে সেই সুযোগটাও কেড়ে নিয়েছে। একে তো করোনা সংক্রমণের ভয় তার মধ্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে চিকিৎসকরাও রোগীদের সেবা দিতে ভয় পাচ্ছিলেন।
ফলে করোনা আতঙ্কে সেখানকার সব চিকিৎসকই যখন পালিয়ে গেলেন তখন ব্যতিক্রমী ছিলেন ডা. জোহা। অন্যান্য চিকিৎসকরা যখন করোনার ভয়ে পালাচ্ছিলেন তখন তিনি সেখানেই থেকে যাওয়ার সংকল্প করলেন।
Advertisement
তিনি চেয়েছিলেন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটির লোকজনকে করোনায় যেন মরতে না হয়। সে কারণেই তাদের চিকিৎসার কথা ভেবে নিজের জীবন উৎস্বর্গ করে দিয়েছেন এই চিকিৎসক।
ইয়েমেনে এডেন শহরে এখন মাত্র একজন চিকিৎসকই আছেন যার কাছে করোনা রোগীরা সেবা পাবেন। নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন।
দেশটিতে প্রায় ৬ মাস ধরে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখনও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ইয়েমেনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এ নিয়ে তেমন কোনো প্রতিবেদনও চোখে পড়েনি।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যম হিসেবে প্রথম বিবিসি সেখানকার মহামারি পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এই মহামারি পরিস্থিতিতে লোকজন কিভাবে টিকে থাকছে তা দেখতে সেখানে পৌঁছেছেন বিবিসির সাংবাদিকরা।
Advertisement
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইয়েমেনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ১১। এর মধ্যে মারা গেছে ৫৮৩ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ২১২ জন। দেশটিতে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ২১৬ জন।
টিটিএন/জেআইএম