আগামী বছরের জানুয়ারির আগে সৌদি আরবের নাগরিকরা দেশত্যাগ এবং দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। রোববার দেশটির সরকারি টেলিভিশনের খবরে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধির খবর দেয়া হয়।
Advertisement
এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সব ধরনের সতর্কতা মেনে সৌদি আরবের নাগরিকরা আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথ ব্যবহার করে দেশত্যাগ এবং পুনরায় দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি বলছে, সৌদি আরব ত্যাগ এবং প্রবেশে নাগরিকদের ওপর আরোপিত সব ধরনের বিধি-নিষেধ আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাহার হবে। নির্ধারিত এই সময়ের এক মাস আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে ঘোষণা দেয়া হবে।
স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথে চলাচলের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশে প্রবেশ এবং দেশত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়েছে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগামী জানুয়ারি থেকে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নাগরিক এবং অসৌদিদের দেশে প্রবেশ এবং ত্যাগের জন্য বৈধ ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে। তাদেরকেও করোনাভাইরাস সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে হবে। তবে করোনামুক্ত বা কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া দেশটিতে কেউ প্রবেশের অনুমতি পাবেন না বলে জানিয়েছে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এমনকি এই নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেশটিতে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে ইস্যুকৃত হতে হবে।
Advertisement
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশসহ ২৫টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ করার অনুমতি দেয় সৌদি আরব।
দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, সাতটি শর্তে সৌদি এয়ারলাইন্স বিদেশ থেকে সৌদি আরবে কয়েকটি দেশের যাত্রীদের ভ্রমণের অনুমতি দেবে। তবে এতে সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর মার্চ মাসে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব। পরে কয়েক দফায় এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৫১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ লাখ ২ হাজার ৮৭০ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া মারা গেছেন অন্তত ৪ হাজার ২৬৮ জন।
সূত্র: আরব নিউজ, সৌদি গেজেট, আল-আরাবিয়া।
Advertisement
এসআইএস/এমএসএইচ