মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মির্জা ফারহান মাশুক ফাহিম। সে লেখাপড়া করার পাশাপাশি নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন দেশি মুরগির খামার। এখন ছোট পরিসরে করলেও ভবিষ্যতে বড় আকারে মিশ্র কৃষি খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে এই তরুণের।
Advertisement
ফাহিম জানান, ২০১৭ সালে মাত্র পাঁচটি মুরগির বাচ্চা দিয়ে শুরু করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে বেড়ে এখন মুরগির সংখ্যা ১শ ৩০টিরও বেশি। এই তরুণ আরো বলেন- ইনকিউবেটরের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদন করা হয় তার খামারে। মাঝে মাঝে ডিম বিক্রি করে দেন। খাবার হিসেবে মুরগির দেয়া হয় ধান, গম, কাঁচা ঘাস ও কিছু কেনা খাবার। বাজারে দেশি মুরগির চাহিদা সব সময় থাকে। পাইকারি হিসেবে ৩’শ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এসব মুরগি। ভালো লাভও হয়। যেখান থেকে প্রতিমাসে সব খরচ বাদে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা লাভ করে থাকেন তিনি। পাশাপাশি পরিবারের আমিষের চাহিদাও মেটে এখান থেকে।
ফাহিম বলেন, দেশি মুরগিতে তেমন কোন ঝুঁকি নেই। রোগ বালাইও কম। কিছু বিষয়ে ধারণা থাকলে সমস্যা হয় না। আমাদের দেশের তরুণেরা সহজেই এ ধরণের উদ্যোগ নিতে পারে। এই তরুণ আরো জানান, ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিশ্র কৃষি খামার গড়ে তুলতে চান তিনি। যেখান থেকে এলাকার অনেক বেকার যুবকের আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বর্তমানে তার দেখাদেখি এলাকার অনেক বেকার যুবকই এ কাছে ঝুঁকচ্ছেন বলেও জানান এ তরুণ।
মিজান/এসইউ/এএ/এমএস
Advertisement