আন্তর্জাতিক

নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদলে কংগ্রেস এখন ‘টিম রাহুলের’

দলীয় নেতৃত্বে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। গুলাম নবি আজাদ এবং মল্লিকার্জুন খড়গে ছাড়াও দলের চার জ্যেষ্ঠ ও প্রবীণ নেতাকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঢেলে সাজানো হয়েছে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।

Advertisement

বিবিসি জানিয়েছে, সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকদের নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। তাতে দেখা যাচ্ছে, গুলাম নবি আজাদ এবং মল্লিকার্জুন খড়গে ছাড়াও কে সি বেণুগোপাল, মতিলাল ভোরা এবং অম্বিকা সনির মতো জ্যেষ্ঠ নেতাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো লিখেছে, সভাপতি হিসেবে ছেলে রাহুল গান্ধীর প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ তৈরি করতেই সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসকে ঢেলে সাজালেন। নতুন ওয়ার্কিং কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বে নিয়োগ দিলেন নতুন সাধারণ সম্পাদক। তাকে সাহায্য করার জন্য ছয় সদস্যের একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করেছেন।

‘টিম রাহুল’-কে প্রাধান্য দেয়ার বার্তা দিয়ে ছয় সদস্যের কমিটিতে আহমেদ প্যাটেল, এ কে অ্যান্টনি, অম্বিকা সোনির মতো সোনিয়ার পুরনো আস্থাভাজনদের সঙ্গে জায়গা দেয়া হল রাহুলের দুই আস্থাভাজনকে— কে সি বেণুগোপাল ও রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। নতুন সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত এই কমিটি সনিয়াকে সাহায্য করবে।

Advertisement

এ ছাড়াও আগামী দিনে সাংগঠনিক নির্বাচন ও সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ইঙ্গিত দিয়ে মধুসূদন মিস্ত্রির নেতৃত্বে দলের নতুন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষও গঠন করেছেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান সোনিয়া গান্ধী। দলের নেতৃত্বের সংকটসহ নানা ইস্যুতে সোনিয়াকে প্রবীণ নেতারা একটি চিঠি দেয়ার পর এই ব্যাপক রদবদল।

দলের দুরবস্থা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে ২৩ জন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতার সোনিয়াকে লেখা চিঠি গণমাধ্যমে ফাঁস হয়। বিক্ষুব্ধদের বার্তা দিয়ে তাদের অন্যতম গুলাম নবি আজাদকে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। অবশ্য তাকে দলের ওয়ার্কিং কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়নি।

বিক্ষুব্ধদের মধ্যে তরুণ জিতিন প্রসাদকে কংগ্রেসের কাছে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামান নিকোবরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতদিন গৌরব গগৈ বাংলার দায়িত্বে ছিলেন। রাহুলের আস্থাভাজন গগৈকে আগেই লোকসভায় দলনেতা অধীর চৌধুরীকে সাহায্যের জন্য উপ-দলনেতার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেও দলে থেকে যাওয়া শচীন পাইলটকে নিয়ে কংগ্রেসে ব্যাপক জলঘোলা হলেও আপাতত কংগ্রেসের সর্বভারতীয় কমিটিতে জায়গা হয়নি তার। রাজস্থানে উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ সভাপতির পদ আগেই খুইয়েছিলেন, এবার দলের নেতৃত্বেও ঠাঁই মিললো না তার।

Advertisement

কংগ্রেসের এই রদবদলে সবচেয়ে উপকৃত রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সভাপতিকে পরামর্শ দেয়ার জন্য যে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে সেখানে আছেন। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদকের খাতায়ও তার নাম উঠেছে। দায়িত্ব পেয়েছেন কর্ণাটকের। দলের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে তো আগে থেকেই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

এসএ