শাহ আবদুল করিম এক কিংবদন্তির নাম। বাউল গানের জগতে যাকে সম্রাট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তার জীবনের গল্পে পাওয়া যায় কীভাবে এক রাখাল বালক অভাব অনটনের মধ্যে বেড়ে উঠেছে এবং গানে গানে দুনিয়া মাতিয়েছে।
Advertisement
ভাটি অঞ্চলের মানুষ হিসেবে তিনি ছেলেবেলা থেকে গানের পরিবেশে থাকার সুযোগ পেয়েছেন, যা তার বাউল হয়ে ওঠার পেছনে অনেক অবদান রেখেছে। তার নিজের জীবন সংগ্রামের অভিজ্ঞতার সঙ্গে ভাটি অঞ্চলের প্রকৃতি ও গ্রামীণ মানুষের কথা বলে গেছেন তার লেখা বিভিন্ন গানে। তিনি কথা বলেছেন সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে।
শাহ আবদুল করিমের একটি বিশেষত্ব যা তাকে বিখ্যাত বাউলদের থেকে আলাদা করে তা হলো তিনি তার লেখা প্রতিটি গান নিজেই সুর করেছেন, প্রতিটি গানের নিজস্বতা তাই তার গানগুলোকে আরো বিশেষ করে তুলেছে।
অসংখ্য জনপ্রিয় বাউল গানের এ স্রষ্টার ১১তম প্রয়াণ দিবসে তাকে তারই গানে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শিল্পীরা। ১২ সেপ্টেম্বর বিশেষ অনলাইন সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরের ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কালচারাল এক্সচেঞ্জ’ নামের একটি সংগঠন।
Advertisement
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও বিশেষ করে বাংলা গানের ধারক এবং বাহক হিসেবে কাজ করে চলেছে এই সংগঠনটি। প্রতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড ও শিল্পীদের বাংলা গানের একাধিক কনসার্ট আয়োজন করে থাকলেও এবার করোনার জন্য সব কার্যক্রম রয়েছে স্থগিত। তার ভিড়েই অনলাইনে বাউলসম্রাট আবদুল করিমকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংগঠনের কর্ণধার জায়েদী সজীব বলেন, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে নিয়ে একটি সংগীতানুষ্ঠান করার পরিকল্পনা বেশ আগে থেকেই ছিল। তাই তার প্রয়াণ দিবসে এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি তারা ফেসবুক লাইভে সম্প্রচার করেন।
অনুষ্ঠানটিতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শিল্পীদের পাশাপাশি মূল আকর্ষণ হিসেবে ছিলেন বাপ্পা মজুমদার ও তার ব্যান্ড দলছুট। বাংলাদেশ থেকে আরো অংশগ্রহণ করেন জিমি, তাশফী, মিলন আর অস্ট্রেলিয়া থেকে অংশ নেন তাসমী, সিমিন, অবনী, তারান্নুম, তিথি, আনিকা সাদ, মিশুসহ আরো কয়েকজন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুনা এবং মুমু।
এলএ/এমকেএইচ
Advertisement