জাতীয়

‘বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ অফিসের সহায়তা নিন’

বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ অফিসের সহায়তা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

Advertisement

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোগে নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এলাকায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গুণগত মানসম্পন্ন ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অনুমোদিত লোডের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার পরিহার করা উচিত। বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ অফিসের সহায়তা নেয়া যেতে পারে। বিদ্যুৎ অফিস গ্রাহকদের সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের সুবিধা গ্রাহকদের অভিহিত করুন। স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার ব্যবহারকারী পরিবারের বাজেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন এবং মাসিক বিল পরিশোধ খুবই সহজ। সরকার নির্ধারিত সময়ই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই বিদ্যুতের তার ভূগর্ভস্থ করা হবে।’

Advertisement

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ১৫ হাজার ৮০০ জন। প্রাথমিকভাবে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে ৯ হাজার ৯৯৮টি। প্রি-পেমেন্ট মিটারিং পদ্ধতিতে মিটারের ব্যালেন্স শেষ হলেও তাৎক্ষণিকভাবে মিটার থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেয়ার ব্যবস্থা থাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ছুটির দিন এবং অফিস সময়ের পর (বিকাল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত) মিটারের ব্যালেন্স শেষ হলেও মিটার বন্ধ হবে না। গ্রাহকরা নিট বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১ শতাংশ হারে রিবেট সুবিধা পান। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হবে না, ফলে লাইন কাটার টেনশন থাকবে না এবং অতিরিক্ত ডিসি/আরসি ফি ও ৫ শতাংশ বিলম্ব মাসুল প্রযোজ্য হবে না।

প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে নতুন সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জামানত গ্রহণ করা হবে না। গ্রাহক মিটারের বিদ্যুৎ ব্যবহার ও অবশিষ্ট ব্যালেন্স যে কোনো সময় দেখতে পারবেন। পেইড মিটার স্থাপনের সময় গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অর্থ আদায় করা হবে না, সকল বিদ্যুৎ বিতরণী সংস্থা/কোম্পানিতে সিঙ্গেল ফেজ মিটারের মাসিক ভাড়া ৪০ টাকা হিসেবে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন অনলাইনে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

Advertisement

আরএমএম/এএইচ/এমকেএইচ