সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর চেয়ে এখন ভারতজুড়ে এই অভিনেতা ও তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর গাঁজা খাওয়া নিয়েই বেশি আলোচনা। রিয়ার এক হোয়াটস আপ চ্যাট লিস্ট থেকে এই মামলায় মাদকের বিষয়টি ঢুকে যায়। এরপর থেকেই একের পর এক অবাক করা তথ্য প্রকাশ হচ্ছে।
Advertisement
ন্যারকোটিস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এবার জানিয়েছে করোনাকালীন লকডাউনে কুরিয়ারে গাঁজা কিনেছিলেন সুশান্ত ও রিয়া। সেই গাঁজার পরিমাণ ছিলো আধা কেজি।
জানা গেছে, লকডাউনে রিয়ার সান্তা ক্রুজের ফ্ল্যাটেও কিছুদিন থাকতে চেয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। জেরায় রিয়া চক্রবর্তীর থেকে এমনই তথ্য পেয়েছে এনসিবি। রিয়া আর সুশান্ত দুজনেই গোপনে গাঁজা আনিয়েছিলেন। যে কুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে তারা গাঁজা আনিয়েছিলেন সেই সংস্থার পক্ষ থেকেই একজন চিহ্নিত করে শৌভিক ও স্যামুয়েলকে।
এপ্রিল মাসে একটি বাক্সে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ আরও বাড়ির কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কুরিয়ারে আসে রিয়া চক্রবর্তীর ফ্ল্যাটে। সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু যে সময় কুরিয়ারটি তার বাড়িতে যায় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না রিয়া।
Advertisement
ফলে শৌভিক চক্রবর্তীই প্যাকেটটি রিসিভ করেছিলেন। সান্তা ক্রুজের ওই ফ্ল্যাটেই বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী আর ভাই শৌভিকের সঙ্গেই থাকতেন রিয়া। জেরায় রিয়া জানিয়েছেন, যাতে অন্য কারোর হাতে প্যাকেটটি না পড়ে কিংবা কোনো অসুবিধে না হয় সে কারণেই কুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে গাঁজার প্যাকেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। এনসিবি হেফাজতে নিয়েছে কুরিয়ার সংস্থার ওই কর্মীকেও। তিনিই শনাক্ত করেন দীপেশ সাওয়ান্ত এবং শৌভিক চক্রবর্তীকে। এরপর ওই কুরিয়ার সংস্থার কর্মী এবং দীপেশের কললিস্টও যাচাই করে দেখা হয়।
সুশান্তের জন্য বেআইনি মাদক সংগ্রেহের জেরেই রিয়াসহ বাকিদের গ্রেফতার করেছে এনসিবি। মাদক ব্যবসায়ী জায়েদ বিলাতরা এবং বাসিত পরিহারও রয়েছে এনসিবির হেফাজতে। এদের সকলেরই জামিনের আবেদন শুক্রবার নাকচ হয়ে যায়।
এনসিবির তরফে জানানো হয়েছে, সুশান্তের জন্য তিনি যে ড্রাগ আনানোর ব্যবস্থা করতেন তা নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন রিয়া। তবে জামিনের আবেদন করে তিনি বলেছেন, তিনি নির্দোষ এবং এই মামলায় তাকে মিথ্যে জড়ানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের দিনও জোর করে তাকে স্বীকার করানো হয়েছিল যে তিনি অপরাধী।
এলএ/জেআইএম
Advertisement