জাতীয়

ঘুষের ঘটনা জানাতে টিআইবির অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ

দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলনে দেশের জনগণকে অধিকতর সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অনলাইনভিত্তিক ‘রিপোর্ট করাপশন’ নামে নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  সোমবার টিআইবির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ প্রাথমিক পর্যায়ে টিআইবির কর্ম-পরিধির পাঁচটি ক্ষেত্র - স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, ভূমি ও জলবায়ু অর্থায়নে সংঘটিত ঘুষের ঘটনা ও অভিজ্ঞতা স্বপ্রণোদিত ও সরাসরিভাবে জানানোর সুযোগ পাবেন। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য- সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্নীতিপ্রবণ খাত ও এর প্রবণতা চিহ্নিত করা; সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে অধিকতর প্রচার, যোগাযোগ ও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম গ্রহণ এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগসমূহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো ও এ বিষয়ে পরবর্তীতে ফলো-আপ করা।ঘুষের ঘটনা ও অভিজ্ঞতা জানানোর পদ্ধতি, নমুনা এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে  www.ti-bangladesh.org/rc এই ঠিকানায় ভিজিট করতে হবে।উল্লেখ্য, টিআইবি ব্যক্তির দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করে না এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোনো আইনি বা প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের এখতিয়ার টিআইবি’র নেই। তবে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রেখে প্রাপ্ত তথ্যের নিয়মিত বিশ্লেষণ করে টিআইবি সেবা গ্রহীতাদের ঘুষ দুর্নীতিজনিত হয়রানির মাত্রা কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম গ্রহণ করবে।টিআইবি’র ২০১২ সালের জাতীয় খানা জরিপের তথ্য অনুযায়ী ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ খানার উত্তরদাতাই বলেছেন যে, বিভিন্ন ধরণের সেবা পেতে তাদেরকে ঘুষ দিতে হয়েছে। অন্যদিকে, ২০১০ সালের জাতীয় খানা জরিপের তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, টাকার অঙ্কে ঘুষের পরিমাণ ২০১২ সালে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। টাকার অঙ্কে ২০১০ সালে ঘুষের পরিমাণ ছিল জিডিপি’র ১ দশমিক ৪ শতাংশ বা জাতীয় বাজেটের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ যা ২০১২ সালে বেড়ে জিডিপি’র ২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ১৩ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।এইচএস/এসকেডি/পিআর

Advertisement