সীমান্তের ওপারেই করোনাভাইরাসে বিশ্বের সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে এ বৈশ্বিক মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ। প্রতিবেশী দেশটিতে এখনও তাণ্ডব চালাচ্ছে এ ভাইরাস, এর মধ্যেই দৈনিক মৃত্যু পুরোপুরি শূন্যের কোটায় নামিয়ে এনেছে কানাডা। ১৫ মার্চের পর থেকে গত শুক্রবার দেশটিতে প্রথমবারের মতো করোনায় কারও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
কানাডার সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ১৬৩ জন। তবে এদিন সেখানে নতুন করে ৭০২ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে কানাডায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৬ জন।
বলা হচ্ছে, সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম) মহামারি নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতা তাদের করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাহায্য করেছে। ২০০২-০৩ সালের ওই মহামারিতে এশিয়ার বাইরে একমাত্র দেশ হিসেবে কানাডায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৪ জন।
গত ২৫ জানুয়ারি কানাডার প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন টরোন্টোতে। এরপর দ্রুতই মহামারির হটস্পটে পরিণত হয় দেশটির সবচেয়ে জনবহুল দুই প্রদেশ ওন্টারিও এবং কুইবেক। গত ৯ মার্চ প্রথমবারের মতো কোনও কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু দেখে কানাডা।
Advertisement
মার্চের মাঝামাঝি সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্ত বন্ধসহ সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় দেশটি। শুরু হয় গণহারে নমুনা পরীক্ষা, দ্রুত আলাদা করা হয় আক্রান্তদের। এছাড়াও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্কুলবন্ধসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয় কানাডা সরকার।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্বশরীরে স্কুলে হাজির হওয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটি। যদিও স্কুল খোলার পর গত কয়েকদিনে কিছুটা বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। এ নিয়ে কড়া সতর্কতা অবলম্বন করেছে কানাডার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/এমএস
Advertisement